খড়গপুর (Kharagpur) শহরের জয়হিন্দনগর এলাকায় সোমবার সকালেই চোখে পড়ল এক গা শিউরে ওঠা দৃশ্য। ঘরের ভিতর বিছানায় পড়ে রয়েছেন এক তরুণী, তাঁর গলা কাটা। পাশে ঘুমিয়ে থাকা তাঁর তিন বছরের শিশুকন্যা যেন কিছুই টের পায়নি (Kharagpur) । আর ঘরের একপাশে লোহার সিঁড়ি থেকে ঝুলছে ওই মহিলার স্বামীর নিথর দেহ। পরিবারভিত্তিক অশান্তির জেরে এই ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের।
মৃত দম্পতির নাম দীপা মাহাত (২৬) ও বিক্রম পুত্তা (৩৭)। পুলিশ জানায়, বিক্রম পেশায় একজন ড্রাইভার। খড়গপুরের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের জয়হিন্দনগর এলাকায় গত দুই বছর ধরে বসবাস করছিল এই পরিবার। রবিবার রাতে কী এমন ঘটেছিল যার জেরে এই মর্মান্তিক পরিণতি—তা এখনও স্পষ্ট নয় (Kharagpur) ।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সকালে খবর পেয়েই তাঁরা ছুটে আসেন ঘটনাস্থলে। এক প্রতিবেশী (Kharagpur) বলেন, “সাতসকালে ফোন পেয়েই ছুটে আসি। এখানে এসে দেখি ভয়ঙ্কর দৃশ্য। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে খবর দিই।”
খড়গপুর টাউন থানার পুলিশ পৌঁছে মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালে। পুলিশ সূত্রে খবর, দীপাকে শ্বাসরোধ করে বা ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করা হয়েছে কি না, তা নিশ্চিত হতে অপেক্ষা করা হচ্ছে ময়নাতদন্তের রিপোর্টের জন্য। পুলিশ প্রাথমিকভাবে অনুমান করছে, পারিবারিক বিবাদের জেরেই হয়তো স্ত্রীকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন বিক্রম।
এখন প্রশ্ন উঠছে, মাত্র তিন বছরের শিশুটি এই ভয়ঙ্কর রাত কীভাবে কাটাল? কী দেখল সে? আদৌ কিছু বুঝতে পেরেছে কি? শিশুটিকে ইতিমধ্যেই পুলিশ সুরক্ষায় রেখেছে এবং প্রয়োজন হলে তার কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানিয়েছে তারা।
এই নির্মম ঘটনায় স্তব্ধ গোটা এলাকা। প্রতিবেশীরা বলছেন, কখনও ভাবতেই পারেননি এত শান্ত স্বভাবের দম্পতির পরিবারে এমন একটা বিভীষিকা লুকিয়ে রয়েছে।