Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • Important
  • ‘আয় সুকান্ত, আয়!’ — কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের হুঙ্কারে কাঁপছে শ্রীরামপুর! উত্তপ্ত বাংলার রাজনীতি
জেলা

‘আয় সুকান্ত, আয়!’ — কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের হুঙ্কারে কাঁপছে শ্রীরামপুর! উত্তপ্ত বাংলার রাজনীতি

kalyan banerjeea
Email :2

ভোটের হাওয়া বইতেই বাংলার রাজনৈতিক মাঠে নেমেছে উত্তাপ। মুখের ভাষায় শালীনতা উধাও, নেতাদের মুখে যেন বিষবাণ! কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার ও তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee) এখন রাজনীতির ‘হট টপিক’। শনিবার থেকেই দুই শিবিরের এই দুই নেতার মধ্যে শুরু হয়েছে কটাক্ষ, পাল্টা কটাক্ষ, আর একে অপরকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেওয়া।

দুপুরে শ্রীরামপুরের মঞ্চে দাঁড়িয়ে সুকান্ত বলেন, “কল্যাণদা (Kalyan Banerjee) যদি খেলতে ডাকে, তাহলে আমি কর্মীদের বলে দিচ্ছি— ভাল করে খেলুন। আমি খেলতে ভালোবাসি!” তাঁর এই বক্তব্যেই যেন আগুনে ঘি পড়ে। সন্ধ্যেয় হাওড়ায় দাঁড়িয়ে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Kalyan Banerjee) গলা তখন ক্রমেই চড়ছে। তিনি সুকান্তকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “আয় সুকান্ত, আয়। এখানে যা লোক আছে, তাদের পায়ের নিচে পড়ে তোর প্রাণ চলে যাবে।”

শুধু এখানেই থামেননি কল্যাণ (Kalyan Banerjee)। বিজেপি নেতাকে তীব্র কটাক্ষ করে বলেন, “CISF-কে ছেড়ে আয়, একদিন বল কবে আসবি। একদিকে বিজেপির লোক থাকবে, অন্যদিকে তৃণমূলের। যদি এক বাপের বেটা হোস, তাহলে চ্যালেঞ্জ নে!” তাঁর গলায় তখন প্রকাশ্য হুমকি, “তোর বাবা নরেন্দ্র মোদী, কাকা অমিত শাহ— এদেরও আমি হারিয়েছি। এবার তোকেও বাংলার মাটিতে জবাব দেব।”

এর আগে সুকান্ত মন্তব্য করেছিলেন, “যদি রাস্তায় তৃণমূল কর্মীরা নামেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী নামবে। গুলি চললে সাধারণ মানুষের ঘরেই লাগবে।” এই বক্তব্যেই ক্ষোভ ছড়ায় তৃণমূল মহলে। প্রতিক্রিয়ায় কল্যাণ বলেন, “ওই ছেলেটা যেটা মন্ত্রী হয়েছে, বালুরঘাটে দশ হাজার ভোটে জিতেছে— এবার দেখে নেবো কীভাবে বাংলায় খেলা হয়।”

ফলত, শনিবার শ্রীরামপুরে সুকান্ত মজুমদারের আগমন যেন সেই রাজনৈতিক সংঘাতকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। ভোটের মুখে দুই দলের শীর্ষ নেতাদের এই ‘খেলার ডাক’ এখন রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে তীব্র আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু।

কে কাকে টপকাবে, কে কার ‘বাপ’ প্রমাণ করবে— সেটাই এখন বড় প্রশ্ন। বাংলার রাজনীতি যেন সত্যিই ঢুকে পড়েছে ‘খেলার মাঠে’, যেখানে শব্দই অস্ত্র, আর প্রতিপক্ষই লক্ষ্যবস্তু।

এই সংঘাতের জেরে হাওড়া-শ্রীরামপুরের রাজনীতিতে তৈরি হয়েছে এক অদ্ভুত তাপমাত্রা। ভোটের আগে এভাবে মুখোমুখি সংঘাত নতুন কিছু নয় বটে, তবে কল্যাণ বনাম সুকান্ত দ্বন্দ্ব এবার যেন ছাপিয়ে যাচ্ছে সব পুরনো রেকর্ড। বাংলার মানুষ এখন কৌতূহলী— শেষমেশ কে হার মানবে এই ‘খেলার’ রাজনীতিতে?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts