একেই বলে ‘রাখে হরি, মারে কে’। ভালোবাসার পথে বাধা পেয়ে চরম সিদ্ধান্ত নিয়েছিল এক প্রেমিক যুগল (Kalna)। গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করতেই চলেছিল তারা, কিন্তু ভাগ্যের চাকা ঘুরল ঠিক তখনই। কালনা থানার টহলদারি পুলিশের তৎপরতায় মৃত্যু থেকে ফিরে এল তারা। সোমবার রাতে পূর্ব বর্ধমানের কালনার (Kalna) দক্ষিণ দুর্গাপুর এলাকায় রাস্তার ধারে গাছ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ওই যুবক ও কিশোরীকে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের কালনা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, যুবক শারীরিকভাবে স্থিতিশীল থাকলেও কিশোরীর অবস্থা এখনও সংকটজনক (Kalna)।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বছর তেইশের যুবকটির সঙ্গে একই এলাকার এক কিশোরীর প্রেমের (Kalna) সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। কিন্তু সেই সম্পর্ক মানতে নারাজ ছিল কিশোরীর পরিবার। অভিযোগ, পরিবারের বাধা পেয়ে সোমবার কিশোরী তার প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যায়। এরপরই কিশোরীর পরিবার কালনা থানায় অভিযোগ দায়ের করে যুবকের বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগে (Kalna)। পরিবারের চাপ, সমাজের দৃষ্টি আর ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তায় একসঙ্গে আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নেয় তারা। কালনার দক্ষিণ দুর্গাপুর এলাকায় রাস্তার ধারে একটি গাছে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে।
তবে ভাগ্যবশত সেই সময় এলাকায় টহল দিচ্ছিল পুলিশ। পুলিশের গাড়ির আলোয় নজরে পড়ে যায় ঝুলন্ত যুগল। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ছুটে গিয়ে দু’জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসায় যুবক এখন বিপন্মুক্ত হলেও কিশোরীর শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে এখনও আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।
এই ঘটনার পর কিশোরীর মা বলেন, “আমার মেয়ের এখনও বিয়ের বয়স হয়নি। ও বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েছিল বলে আমরা আতঙ্কে ছিলাম। তাই থানায় অভিযোগ করেছিলাম। ওর যদি কিছু হয়ে যায়, তাহলে ছেলেটিকে আমরা ছেড়ে দেব না।” অন্যদিকে, হাসপাতালের শয্যা থেকে যুবক জানায়, “আমি ওকে বারবার বাড়ি ফিরে যেতে বলেছিলাম। কিন্তু ও শুনতে চায়নি। তাই দু’জনেই মিলে শেষ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিই।”
প্রেমে বাধা, সমাজের চাপ আর পরিবারের অমতে আত্মহননের পথ বেছে নেওয়া এমন ঘটনা নতুন নয়। কিন্তু সময়মতো পুলিশের উপস্থিতি এ যাত্রায় দুটি প্রাণকে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরিয়ে আনল। এখন প্রশ্ন — সমাজ কি এমন সম্পর্ককে আরও একটিবার বুঝে নিতে পারে না?