কালীগঞ্জে (Kaligang) উপনির্বাচনে তৃণমূলের জয় উদযাপনের সময় বোমাবাজির বলি হয় চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী, নাবালিকা তামান্না খাতুন। এই ঘটনার পর গোটা এলাকা শোকস্তব্ধ হয়ে পড়ে। মেয়েকে হারিয়ে তামান্নার (Kaligang) পরিবারে নেমে এসেছে নিদারুণ অন্ধকার। শুক্রবার নিহত তামান্নার পরিবারের সঙ্গে দেখা করার কথা ছিল কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ও বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের। কিন্তু তার (Kaligang) আগেই সামনে এল বিস্ফোরক পরিস্থিতি—তালাবদ্ধ তামান্নার বাড়ি, উধাও পরিবার। প্রশ্ন উঠছে, কোথায় গেল তামান্নার পরিবার?
সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ আদালতে তামান্নার মায়ের গোপন জবানবন্দি রেকর্ড করার কথা। সেই কারণ দেখিয়েই পুলিশ তাঁদের বাড়ি থেকে সরিয়ে নিয়ে যায় (Kaligang)। প্রথমে পলাশীর মীর ফাঁড়িতে এবং পরে কৃষ্ণনগর আদালতে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁদের (Kaligang)। তবে বিজেপির দাবি, এটা নিছক ‘জবানবন্দি’ নয়, বরং রাজনৈতিক চক্রান্ত। সুকান্ত মজুমদার যাতে তামান্নার পরিবারের (Kaligang) সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে না পারেন, তার জন্যই পুলিশ ইচ্ছাকৃতভাবে পরিবারকে সরিয়ে দিয়েছে। বিজেপির পক্ষ থেকে নদিয়ার দক্ষিণ জেলা সভাপতি অর্জুন বিশ্বাস এবং সাংসদ জগন্নাথ সরকার অভিযোগ করেছেন, তৃণমূল কংগ্রেস বিজেপির প্রবেশ ঠেকাতেই এমন পরিকল্পনা করেছে।

বিজেপির পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, সুকান্ত মজুমদার আজ নদিয়ার একটি দলীয় সভায় অংশ নেওয়ার পর নিহত তামান্নার বাড়িতে পৌঁছনোর কথা ছিল। কিন্তু বাস্তবে তিনি পৌঁছনোর আগেই তালা দেওয়া বাড়ি দেখে বিস্মিত সকলে।
গতকালই তামান্নার মা অভিযোগ করেছিলেন, পুলিশ নিষ্ক্রিয়। তাঁর দাবি, পুলিশ বাড়ির বাইরে উপস্থিত থাকলেও তাদের সঙ্গে কোনও কথাবার্তা বলেনি। এখনও পর্যন্ত বেশ কয়েকজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়নি বলেও অভিযোগ। গ্রামবাসীরাও অভিযোগ করেছেন, এলাকায় এখনও বিস্ফোরক মজুত রয়েছে, অথচ পুলিশ সেই বোমা উদ্ধার করছে না।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক উত্তাপ ক্রমেই বাড়ছে। পুলিশের ভূমিকা, প্রশাসনের নিরপেক্ষতা এবং শাসক দলের প্রভাব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা।