দুই বছর আগে সিবিআই হানা দিয়েছিল, এবার ইডি। সোমবার মুর্শিদাবাদের কান্দির বাড়ি থেকে বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণকে (Jiban Krishna Saha) গ্রেফতার করেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। তাঁকে নিয়ে আসা হচ্ছে কলকাতার সিজিও কমপ্লেক্সে, যেখানে চলবে জিজ্ঞাসাবাদ।
সোমবার ভোরে মুর্শিদাবাদে পৌঁছে ইডি আধিকারিকরা জীবনকৃষ্ণের (Jiban Krishna Saha) কান্দির বাড়ি-সহ মোট পাঁচ জায়গায় তল্লাশি চালান। এই অভিযান চলে বিধায়কের পিসি এবং শ্বশুরবাড়িতেও।
ইডি আধিকারিকরা বাড়িতে ঢুকতেই জীবনকৃষ্ণ (Jiban Krishna Saha) পেছনের দেওয়াল টপকে পালানোর চেষ্টা করেন। তবে কেন্দ্রীয় বাহিনী তাকে ধরেই ফেলে। অতীতে পঠিত পাঠ ভুলে এদিনও তিনি দুইটি মোবাইল ফোন পুকুরের দিকে ছুড়ে দেন, কিন্তু diesmal লক্ষ্যভেদ হয় না। ফোন দুটি পুকুরের জলে না গিয়ে পাড়েই আটকে যায় এবং ইডি তা উদ্ধার করে।
এই ফোনগুলোতে কী তথ্য রয়েছে তা এখন তদন্তের মূল বিষয়। ২০২৩ সালে সিবিআই হানার সময়ও একই ঘটনা ঘটিয়েছিলেন জীবনকৃষ্ণ। সূত্রের খবর, মোবাইল ফোন নিয়ে তাঁর রহস্য এবং তথ্য লুকানোর চেষ্টা নিয়েই ইডির প্রধান জিজ্ঞাসাবাদ। প্রথমে তিনি ফোনের পাসওয়ার্ড দিতে অস্বীকার করলেও পরে লক খোলার পর নিয়োগ সংক্রান্ত একাধিক নথি উদ্ধার হয়।
এরপরই তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি। গ্রেফতারির বিষয়টি নবম, দশম, একাদশ ও দ্বাদশে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার সঙ্গে সম্পর্কিত। আপাতত তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হচ্ছে, যেখানে আরও বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।