জয়নগর (Jaynagar) ধর্ষণ এবং খুনে মামলার রায় দিল বারুইপুরের পসকো আদালত। দোষী (Jaynagar) মোস্তাকিন সর্দারকে ফাঁসির সাজা দিলেন বারুইপুরের ফাস্ট অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট জাজেস কোর্টের বিচারক সুব্রত চট্টোপাধ্যায়। আগের দিনই বারুইপুর পসকো আদালত মুস্তাকিনকে (Jaynagar) দোষী সাব্যস্ত করেন। এদিনও বিচারপতি মুস্তাকিনের (Jaynagar) কাছ থেকে তার কথা জানতে চায়। কিন্তু এদিনও মুস্তাকিন (Jaynagar) জানায় সে নির্দোষ। পাশাপাশি সে জানায় তাকে দলের লোক ফাঁসাতে চাইছে। কিন্তু কোন দল, সেই বিষয়ে কিছু বলতে পারেনি। শুধু তাই নয়, মুস্তাকিন (Jaynagar) আদালতে জানিয়েছিল, তার বাবা-মায়ের সে ছাড়া কেউ নেই। কিন্তু পুলিশ (Jaynagar) জানায় তার বাবা-মায়ের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। শুক্রবার (Jaynagar) আদালতের তরফ থেকে মুস্তাকিনের বাবা-মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্ট করা হয়। কিন্তু তা সম্ভব নয়।
পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, “এই রায় নজিরবিহীন। নাবালিকাকে ধর্ষণ-খুনের মামলায় ঘটনার মাত্র ৬২ দিনের মধ্যে অভিযুক্তের ফাঁসির আদেশ এর আগে পশ্চিমবঙ্গে কখনও ঘটেনি। এই মামলার তদন্তে আমাদের একটাই উদ্দেশ্য ছিল, যত দ্রুত সম্ভব নির্যাতিতা এবং তার পরিবারকে ন্যায়বিচার দেওয়া। মেয়েটি আর ফিরবে না, কিন্ত অভূতপূর্ব দ্রুততায় যে তাকে এবং তার পরিবারকে আমরা ‘জাস্টিস’ দিতে পেরেছি, দীর্ঘদিন বিচারহীন থাকতে হয়নি, এটুকুই আমাদের সান্ত্বনা, আমাদের প্রাপ্তি।”
প্রসঙ্গত, আরজি করের আবহের মধ্যেই পুজোর ঠিক আগে জয়নগরের কুলতলি এলাকায় নয় বছরের এক বালিকাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। এরপরেই উত্তাল হয়ে ওঠে। বার বার বিক্ষোভে কেঁপে ওঠে জয়নগর। অভিযোগ ওঠে গৃহশিক্ষিকার কাছ থেকে পড়ে বান্ধবীর সঙ্গে ফিরছিল নির্যাতিতা। কিন্তু মাঝরাস্তাকে দুজনে আলাদা হয়ে যায়। দোষী মুস্তাকিনের সাইকেলে করে সে বাড়ির দিকে যায়। সেদিনের সিসিটিভি ফুটেজেও দেখা যায়, মুস্তাকিন নির্যাতিতার যাওয়ার দুই মিনিট পরে তার পিছু নেয়।
এই ঘটনায় বার বার পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছিল নির্যাতিতার পরিবার অভিযোগ, পুলিশ প্রথমে নিখোঁজ ডায়েরি নিতে চাইনি। এই থাা থেকে সেই থানায় ঘুরিয়েছিল। এমনকী শুরুতে পুলিশ জানিয়েছিল, নির্যাতিতাকে ধর্ষণ করা হয়নি। পরে বিচারকের ধমকে নতুন করে যৌন নির্যাতনের মামলা দায়ের করে পুলিশ।