কাশ্মীরের বৈসরণ উপত্যকায় নিরীহ পর্যটকদের উপর জঙ্গি হামলার ক্ষত এখনও অনেকের মনে টাটকা। সেই ঘটনার মতোই ভয় ধরানো এক নতুন কাণ্ডে এবার উঠে এল বাংলার নাম (Jalpaiguri)। পাকিস্তান মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠনের নাম করে বাংলার মানুষের ফোনে আসছে হুমকি— ডিজিটাল অ্যারেস্ট, জঙ্গি যোগাযোগ, মোবাইল নম্বর ব্যবহারের অভিযোগ! আর সেই ভয় দেখিয়ে, লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এক চক্র। ঠিক এমনই এক ঘটনায় ১২ লক্ষ টাকা প্রতারণা হয়েছিল জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) এক বাসিন্দা ঝন্টু বোসের সঙ্গে।
যদিও শেষরক্ষা করেছে জেলা (Jalpaiguri) পুলিশ। দীর্ঘ তদন্ত শেষে প্রতারকের হাত থেকে সেই ১২ লক্ষ টাকা উদ্ধার করে বৃহস্পতিবার এক বিশেষ অনুষ্ঠানে ঝন্টু বোসের হাতে তুলে দেয় পুলিশ কর্তৃপক্ষ।
এদিন জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলা পুলিশের এক কর্মসূচিতে সাইবার প্রতারণার শিকার তিনজন ভুক্তভোগীকে তাঁদের হারানো টাকা ফিরিয়ে দেওয়া হয়। একইসঙ্গে অবসরপ্রাপ্ত ও পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্যদের সংবর্ধনাও জানানো হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার উমেশ খান্ডবাহালে, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার-সহ অন্যান্য পুলিশ আধিকারিক ও তাঁদের পরিবারবর্গ।
পুলিশ সুপার উমেশ খান্ডবাহালে (Jalpaiguri) জানিয়েছেন, “সাইবার অপরাধীরা এখন ভয় দেখানোর নতুন কৌশল নিয়েছে। মোবাইল নম্বর জঙ্গিরা ব্যবহার করেছে— এই অভিযোগ তুলে ‘ডিজিটাল অ্যারেস্ট’-এর হুমকি দিচ্ছে। মানুষ ভয় পেয়ে সব কিছুই করে ফেলছে। আমরা বারবার প্রচার করে যাচ্ছি, যাতে কেউ এই ধরণের ফাঁদে পা না দেন।”
ভুক্তভোগী ঝন্টু বোস বলেন, “ফোনে বলা হয়েছিল আমার নম্বর জঙ্গিরা ব্যবহার করেছে। ভয় পেয়েই ওদের কথামতো কাজ করি। বুঝতেই পারিনি, ওরা প্রতারক। আজ পুলিশ যেভাবে আমার টাকা ফিরিয়ে দিল, তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ।”
এই ঘটনার পর জেলা পুলিশ আবারও সাধারণ মানুষকে সতর্ক করেছে— কোনও সরকারি আধিকারিক বা পুলিশ কখনও ভিডিও কলে ডিজিটাল অ্যারেস্টের ভয় দেখিয়ে টাকা চাইবে না। এ ধরণের ফোন এলেই ১৯৩০ নম্বরে রিপোর্ট করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।