জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) খড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে ভয়াবহ দাম্পত্য হত্যাকাণ্ডে চাঞ্চল্য ছড়াল। স্ত্রীকে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িত বলে সন্দেহ করতেন স্বামী। সেই সন্দেহ এতটাই প্রবল হয়ে ওঠে যে, শেষমেশ ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্ত্রীর গলা কেটে খুন করে নিজেই আত্মঘাতী হলেন তিনি (Jalpaiguri)। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের গদাধর কলোনি এলাকায়।
স্থানীয় বাসিন্দা সন্তোষ বর্মন (৫৫) পেশায় ছিলেন গাছ কাটার শ্রমিক। তাঁর স্ত্রী নীলা বর্মন (৫০) ছিলেন গৃহবধূ। তাঁদের তিন ছেলেও রয়েছেন, যারা সবাই এখনও অবিবাহিত এবং দিনমজুরের কাজ করেন (Jalpaiguri)। প্রতিবেশীদের দাবি, কিছু মাস আগে কাজ করতে গিয়ে একটি বাড়ি থেকে পড়ে গিয়ে মাথায় গুরুতর আঘাত পান সন্তোষ। সেই সময় থেকেই মানসিকভাবে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং স্ত্রীর প্রতি সন্দেহ প্রবল হয়ে ওঠে (Jalpaiguri)।
স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য শোভন রায় (Jalpaiguri) জানান, “সন্তোষ খুব একটা মিশতেন না। কিন্তু স্ত্রীর উপর তার সন্দেহ ছিল প্রবল। অনেক সময় অদ্ভুত আচরণ করতেন।” অপর এক পঞ্চায়েত সদস্যা রত্না ধর বলেন, “সকালেই খবর পাই। ছুটে যাই ঘটনাস্থলে। দেখে মনে হয় স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করার পর ফাঁসিতে ঝুলে আত্মঘাতী হয়েছেন সন্তোষ।”
ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে আসে কোতোয়ালি থানার পুলিশ। থানার আইসি সঞ্জয় দত্ত জানিয়েছেন, “দুই দেহই উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। অস্বাভাবিক মৃত্যু ও খুন—দু’টি দিক থেকেই মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে।”
অস্বাভাবিক এই ঘটনার পর পুরো গ্রামজুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। প্রশ্ন উঠছে—কতটা নিঃসঙ্গ ও অবসাদগ্রস্ত হলে একজন মানুষ এমন ভয়াবহ সিদ্ধান্ত নিতে পারে? স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সন্তোষ মানসিক অবসাদের জন্য চিকিৎসার প্রয়োজন ছিল, কিন্তু সেই চিকিৎসা সময়মতো না হওয়াতেই হয়তো এই চরম পরিণতি।