আগামী ৩০ এপ্রিল রাজ্যের অন্যতম বড় ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক প্রকল্প হিসেবে দিঘায় জগন্নাথ মন্দির-এর (Jagannath Temple) উদ্বোধন হতে চলেছে। এই উপলক্ষ্যে (Jagannath Temple) গোটা রাজ্য জুড়েই শুরু হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। নবান্ন থেকে প্রতিটি জেলা, ব্লক এবং পুরসভাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যাতে এই অনুষ্ঠানের (Jagannath Temple) সম্প্রচার বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়।
জানা গেছে, উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচারের জন্য ব্লক ও পুরসভাগুলিতে হোর্ডিং, পাবলিক ডিজিটাল ডিসপ্লে, এলসিডি স্ক্রিন, এমনকি স্থানীয় কেবল চ্যানেল ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অযোধ্যার রাম মন্দির উদ্বোধনের আদলে তৈরি হচ্ছে সম্প্রচার ব্যবস্থাও। দিঘা থেকে সরাসরি সম্প্রচারের লাইভ ফিড পাঠানো হবে প্রতিটি জেলায়, যেখান থেকে নির্ধারিত স্থানে তা সম্প্রচারিত হবে।
উদ্বোধনের আগের দিন অর্থাৎ ২৯ এপ্রিল মন্দির প্রাঙ্গণে আয়োজিত হবে হোম যজ্ঞ। এই দু’দিনের অনুষ্ঠানকে ঘিরে জেলা প্রশাসনগুলিকে আলাদা বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছে, যাতে প্রচার ও নিরাপত্তা নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়। কোথায় কত মানুষের জমায়েত হতে পারে, তার ভিত্তিতে স্ট্র্যাটেজিক লোকেশন নির্ধারণের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও কোনও ফাঁক রাখা হয়নি। ইতিমধ্যেই মন্দির চত্বরে মোতায়েন হয়েছে ডিরেক্টরেট অব সিকিউরিটির বিশেষ দল। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের প্রধান পুরোহিত রাজেশ দয়িতাপতি বর্তমানে দিঘায় অবস্থান করছেন এবং তাঁর তত্ত্বাবধানে চলছে যজ্ঞের প্রস্তুতি।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, আগামী বছরের লোকসভা নির্বাচনের আগে এই অনুষ্ঠানকে ঘিরে রাজ্য সরকারের সক্রিয়তা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। পর্যটকদের প্রিয় গন্তব্য দিঘাতে এই নতুন মন্দির নির্মাণ, স্বাভাবিকভাবেই এলাকার পর্যটন সম্ভাবনাকে আরও সমৃদ্ধ করবে, এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহল।
একদিকে ধর্মীয় আবেগ, অন্যদিকে রাজনৈতিক বার্তা—সব মিলিয়ে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন হয়ে উঠছে এক গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যব্যাপী আয়োজন।