Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • জেলা
  • যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রের রহস্যমৃত্যু, চলন্ত ট্রেন থেকে নদীতে ঝাঁপ দিলেন সোহম
জেলা

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রের রহস্যমৃত্যু, চলন্ত ট্রেন থেকে নদীতে ঝাঁপ দিলেন সোহম

deadbody
Email :2

ফের মর্মান্তিক মৃত্যু যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রের (Jadavpur Student Death)। চলন্ত ট্রেন থেকে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করলেন তৃতীয় বর্ষের ছাত্র সোহম পাত্র। মেদিনীপুরে কংসাবতী নদী থেকে উদ্ধার হয় তাঁর দেহ। এই ঘটনায় স্তব্ধ যাদবপুর ক্যাম্পাস, ভেঙে পড়েছে সোহমের পরিবার (Jadavpur Student Death)।

জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে হাওড়া-আদ্রা রানি শিরোমণি প্যাসেঞ্জার ট্রেনে মায়ের সঙ্গে বাঁকুড়ার বাড়িতে ফিরছিলেন সোহম (Jadavpur Student Death)। ট্রেনটি যখন কাঁসাই হল্ট ও মেদিনীপুর স্টেশনের মাঝামাঝি পৌঁছয়, তখনই হঠাৎ কংসাবতী নদীতে ঝাঁপ দেন তিনি। সেই সময় সোহমের মা বাথরুমে ছিলেন। ফিরে এসে ছেলে কোথায় খোঁজ করতে গিয়ে জানতে পারেন, সোহম দরজার দিকে গিয়েছিলেন। এরপরই ট্রেন থামিয়ে শুরু হয় খোঁজাখুঁজি।

রাতভর নদীতে তল্লাশি চলে, কিন্তু কোনও খোঁজ মেলেনি (Jadavpur Student Death)। বুধবার সকালে কংসাবতী নদীতে ভেসে ওঠে সোহমের নিথর দেহ। স্থানীয়রা দেখেই খবর দেন পুলিশকে। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের (Jadavpur Student Death) জন্য পাঠায়।

সোহমের (Jadavpur Student Death) বাড়ি বাঁকুড়া শহরের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে। পরিবারের সদস্যদের কথায়, তাঁদের ছেলের কোনও শত্রু ছিল না, কলেজেও সবাই ভালোবাসত। তবে ছেলের মনে কী চলছিল তা বুঝতে পারেননি কেউই। সোহমের বাবা বলেন, “ওর মনে কিছু চলছিল। হয়তো অবসাদে ভুগছিল। তাই এমনটা করেছে।” মায়ের গলায় কান্না— “আমার ছেলেকে সবাই ভালোবাসত, ওর কোনও শত্রু ছিল না।”

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, মানসিক অবসাদ থেকেই আত্মহত্যা। তবে ঘটনার প্রকৃত কারণ জানতে তদন্ত শুরু করেছে মেদিনীপুর রেলপুলিশ। কোনও রকম র‌্যাগিং বা কলেজ সংক্রান্ত মানসিক চাপ ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

কলেজের সহপাঠীরা জানিয়েছেন, সোহম শান্ত, মেধাবী এবং অন্তর্মুখী প্রকৃতির ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও শোকপ্রকাশ করেছেন। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের এক সদস্য বলেন, “আমরা চাই, কেন এমন ঘটল তা খোলসা হোক। অবসাদে ভুগলেও কেউ যেন সাহায্য চাওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত না হয়।”

ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় শোকের ছায়া। অনেকে লিখেছেন, “একজন প্রতিভাবান ছাত্রের এমন পরিণতি মেনে নেওয়া যায় না।” রাজ্যজুড়ে প্রশ্ন উঠছে— ছাত্রদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে আমরা কতটা সচেতন?

এই ঘটনার পর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ফের আলোচনায় মানসিক স্বাস্থ্য ও কাউন্সেলিংয়ের প্রয়োজনীয়তা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts