ফের এক পড়ুয়ার মৃত্যুতে চাঞ্চল্য ছড়াল আইআইটি খড়্গপুরে (IIT Kharagpur)। মৃত ছাত্রের নাম হর্ষকুমার পাণ্ডে। তিনি ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা ছিলেন এবং মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং (IIT Kharagpur) বিভাগের পড়ুয়া। শনিবার দুপুর থেকে তাঁর রুম বন্ধ থাকায় সন্দেহ হয় সহপাঠীদের। অনেকক্ষণ পর দরজা না খোলায় বন্ধুরা ঘরে গিয়ে দেখেন হর্ষ ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছেন। সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশে খবর দেওয়া হয়। খড়্গপুর টাউন থানার হিজলি ফাঁড়ির পুলিশ দেহ (IIT Kharagpur) উদ্ধার করে। কীভাবে তাঁর মৃত্যু হল, তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই জানা যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এই নিয়ে চলতি বছরে আইআইটি খড়্গপুরে (IIT Kharagpur) অস্বাভাবিক মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ছ’তে। এর মধ্যে পাঁচজনেরই ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। একমাত্র চন্দ্রদীপ পাওয়ার নামে এক ছাত্রের মৃত্যু হয় ওষুধ গলায় আটকে। বাকিদের সবাইকে ফাঁস লাগানো অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে।
এ বছরের জানুয়ারিতে শোয়ান মালিক নামে এক পড়ুয়ার মৃত্যু দিয়ে শুরু হয়েছিল এই মৃত্যুমিছিল। মার্চে মারা যান মহম্মদ আসিফ কামার, এপ্রিল মাসে অনিকেত ওয়ালকর। জুলাই মাসে তিন দিনের ব্যবধানে মৃত্যু হয় রিতম মণ্ডল ও চন্দ্রদীপ পাওয়ারের। এখন হর্ষকুমারের মৃত্যু সেই তালিকায় নতুন সংযোজন।
একাধিক মৃত্যুর ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে—এরা কি সকলেই আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছেন? যদি তাই হয়, তবে তার কারণ কী? পড়াশোনার চাপ, প্রত্যাশা পূরণ না হওয়ার ভয়, নাকি অন্য কোনও মানসিক যন্ত্রণা? উত্তর খুঁজছে আইআইটি খড়্গপুর প্রশাসনও।
ক্যাম্পাসে টানা মৃত্যুর ঘটনায় ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক বাড়ছে, আর অভিভাবকরাও ক্রমশ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ছেন। এখন সবার নজর ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ও তদন্তের ফলাফলের দিকে।