সিভিল ইঞ্জিনিয়ার হুমায়ুন কবির সিদ্দিকি প্রথমে নিজের মা-বাবাকে খুন (Murder) করে, তারপর মেমারি থেকে সোজা চলে আসে বনগাঁ। বনগাঁর একটি মাদ্রাসায় ঢুকে সেখানে শিক্ষক ও পরিচালকদের উপর ছুরি (Murder), কুড়ুল দিয়ে হামলা চালায়। গুরুতর জখম হয়েছেন কয়েকজন। দু’জন শিক্ষক গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি।
ঘটনার সময় মাদ্রাসায় আজান হয়ে শিক্ষাদান শুরু হয়েছিল (Murder)। আচমকাই হুমায়ুন ভিতরে ঢুকে ছুরি চালাতে শুরু করে। এলাকা জুড়ে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বনগাঁ থানার পুলিশ এসে হুমায়ুনকে গ্রেপ্তার করে।
ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই স্থানীয় লোকজন রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখান। উত্তেজনা সামাল দিতে গিয়ে কয়েকজন পুলিশকর্মীও আহত হন। বনগাঁ পুলিশ জেলার এসপি জানিয়েছেন, “হুমায়ুন মাদ্রাসায় ছুরি দিয়ে হামলা চালায়। ও নিজেই মা-বাবাকে খুন করে পালিয়ে এসেছে।”
হুমায়ুন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি.টেক পাশ করে দিল্লিতে একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে কাজ করতেন। চার-পাঁচ মাস আগে নিখোঁজ হন, পরে হিমাচল থেকে পাওয়া যায়। তখন মা-বাবা তাঁকে ফিরিয়ে আনেন মেমারিতে। কিন্তু বুধবার তাঁদের কাটা দেহ উদ্ধার হয় বাড়ি থেকে।
পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, হুমায়ুন মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছেন। কিন্তু কীভাবে এত ভয়ংকর কাণ্ড ঘটাল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।