শালিমার স্টেশনে রীতিমতো থ্রিলার চিত্রনাট্য (Human Trafficking)। কাজের লোভ দেখিয়ে ছয়জন নাবালককে ওড়িশায় পাচারের ছক! কিন্তু শেষরক্ষা হল না পাচারকারীদের। রেল পুলিশের তৎপরতায় রক্ষা পেল ছোট ছোট ছয়টি জীবন। ঘটনায় বিহারের দুই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে (Human Trafficking)।
সোমবার সকালে শালিমার স্টেশনের এক নম্বর প্ল্যাটফর্মে আচমকা সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায় ছ’জন নাবালক ও দুই যুবককে (Human Trafficking)। সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ কর্তব্যরত আরপিএফ আধিকারিকদের সন্দেহ হয় এবং সঙ্গে সঙ্গেই আটক করা হয় তাদের। তদন্তে উঠে আসে, বিহারের আরারিয়া জেলা থেকে ওই নাবালকদের এনে ওড়িশার জাজপুরে পাচার করা হচ্ছিল ধৌলি এক্সপ্রেস ধরেই (Human Trafficking)। অভিযুক্তদের নাম নিতিশ কুমার (২১) এবং বাবুল কুমার (২০)।
জিজ্ঞাসাবাদে ওই দুই যুবক জানায়, জাজপুরের কেয়নঝরে ১২ হাজার টাকা বেতনের কাজের জন্য নাবালকদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। কিন্তু রেল পুলিশ বুঝতে পারে, এই পুরো প্রক্রিয়া সম্পর্কে ছেলেগুলির কোনও পরিষ্কার ধারণা নেই। কোথায় যাচ্ছে, কী কাজ করবে—তারা কিছুই জানে না। শুধু বলা হয়েছে, “ভাল কাজ পাবে, বেতন পাবে।”
আরপিএফের প্রাথমিক তদন্তে স্পষ্ট হয়ে যায়, এটি নিছক কাজের সুযোগ নয়—বরং একটি চক্রের মাধ্যমে শিশু পাচারেরই চেষ্টা চলছিল। ছেলেগুলির কাছ থেকে পাওয়া যায় সাতটি ট্রেনের টিকিট, যা আরও সন্দেহ বাড়ায়। সঙ্গে সঙ্গে আরপিএফ ধৃতদের শালিমার জিআরপি-র হাতে তুলে দেয়। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মানব পাচার ও শিশু সুরক্ষা আইনে মামলা রুজু হয়েছে।
অন্যদিকে, ছ’জন নাবালককে নিরাপদ আশ্রয়ে পাঠানো হয়েছে এবং পরবর্তী পদক্ষেপে শিশু কল্যাণ দফতরের সহযোগিতা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এই ঘটনায় ফের একবার সামনে এল শিশু পাচার রোধে সক্রিয় নজরদারির প্রয়োজনীয়তা। মানুষের মনে প্রশ্ন—এতটা সুরক্ষিত জায়গা, রেলস্টেশনে এত মানুষের ভিড়, সেখানেই কীভাবে এমন ভয়ঙ্কর পাচারচক্র কাজ করে যাচ্ছে?