আবারও আগুন আতঙ্ক হাওড়ার (Howrah) অন্যতম বড় পাইকারি বিপণি এলাকা মঙ্গলাহাটে। রবিবার দুপুরে আচমকাই সাদা ধোঁয়ায় ঢেকে যায় মর্ডান বিল্ডিংয়ের তিনতলা (Howrah)। আগুনের লেলিহান শিখা দেখা না গেলেও ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়তেই মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। আতঙ্কের উৎসস্থল মর্ডান বিল্ডিংটি মঙ্গলাহাট বাজারের (Howrah)মূল কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থিত, যেখানে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করেন এবং প্রায় ২০০-র বেশি দোকান রয়েছে শুধু এই ভবনেই।
ধোঁয়া বেরোতে দেখেই স্থানীয়দের (Howrah) মধ্যে চরম উত্তেজনা তৈরি হয়। পাশে হাওড়া থানা থাকায় সঙ্গে সঙ্গে খবর যায় পুলিশের কাছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় পুলিশ এবং দমকলের মোট ৮টি ইঞ্জিন। এরপরই শুরু হয় দমকলের রুদ্ধশ্বাস অভিযান। গোটা বিল্ডিং দ্রুত ফাঁকা করে দেওয়া হয়। প্রায় ৩ হাজার ব্যবসায়ীকে বের করে আনা হয় প্রাণ বাঁচানোর জন্য।
তবে ঘিঞ্জি এলাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয় দমকল কর্মীদের। ঢোকা ও বেরনোর রাস্তা সংকীর্ণ, আবার বিল্ডিংয়ের অভ্যন্তর কাঁচা তার ও অনিয়ন্ত্রিত বৈদ্যুতিক সংযোগে ঠাসা— এসব কারণেই আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বাড়ে। প্রাথমিকভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও কীভাবে এই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত তা এখনও নিশ্চিত নয়। অনুমান করা হচ্ছে শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন লেগেছে, তবে তদন্ত চলছে।
ঘটনাস্থলে পৌঁছন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী ও হাওড়া সদর কেন্দ্রের বিধায়ক অরূপ রায়। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন এবং ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি আশ্বাস দেন, ক্ষতির পরিমাণ ও আগুন লাগার কারণ দু’টিই খতিয়ে দেখা হবে।
তবে সবচেয়ে আশঙ্কার দিক, মঙ্গলাহাটে এটাই প্রথম নয়। ২০২৩ সালেই এই একই বাজারে ভয়াবহ আগুন লেগে একাধিক কাপড়ের দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছিল। সেই স্মৃতি আজও টাটকা ব্যবসায়ীদের মনে। এদিন ফের আগুন লাগতেই আতঙ্ক গ্রাস করে গোটা বাজার চত্বরকে।
এই পরিস্থিতিতে বড় প্রশ্ন উঠে পড়েছে— বারবার কেন আগুন লাগছে মঙ্গলাহাটে? কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে আগের ঘটনার পর? কেন আগুন নেভানোর জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো এখনও গড়ে ওঠেনি? আর কতবার আগুনে পুড়বে কোটি টাকার ব্যবসা?