হুগলির খানাকুলে ফের উত্তপ্ত রাজনৈতিক পরিসর। চিংড়া সমবায় সমিতির দুর্নীতি ঘিরে ক্ষোভের বিস্ফোরণ এবার বিধায়কের গলায় (Hoogly)। সরাসরি অফিস ঘেরাওয়ের কর্মসূচিতে গিয়ে তৃণমূল নেতা ও সমবায় সমিতির ম্যানেজারকে উদ্দেশ্য করে কুরুচিকর ভাষা প্রয়োগ করলেন বিজেপির খানাকুলের বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ (Hoogly)। এখানেই শেষ নয়, প্রকাশ্য জনসভায় ওই ম্যানেজারকে “বেঁধে রাখার” নিদানও দেন তিনি।
বুধবার চিংড়া সমবায় সমিতির (Hoogly) বিরুদ্ধে একগুচ্ছ দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিজেপির ডাকে বিক্ষোভ কর্মসূচি হয়। অভিযোগের তির, সমবায়ের টাকা নয়ছয় করে চলছে চূড়ান্ত লুটপাট। ওই কর্মসূচিতে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ বলেন (Hoogly), “কৃষকদের টাকা লুট করে মদ-মাংস চলছে। তোর বাপের টাকা নাকি রে?”— সরাসরি ‘তুই তোকারি’ করে সমবায়ের ম্যানেজার প্রভুনাথ পোড়েলকে আক্রমণ করেন তিনি।
এই ভাষা ব্যবহার ও উসকানিমূলক মন্তব্য নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক। এলাকাজুড়ে ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য (Hoogly)। কেউ কেউ বলছেন, জনসমক্ষে একজন জনপ্রতিনিধির মুখে এমন ভাষা শোভনীয় নয়। যদিও বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুললে পাল্টা সাফাই দিয়েছেন বিধায়ক নিজেই। তাঁর দাবি, “এটা ভাষা সন্ত্রাস নয়, এটা জনগণের আওয়াজ। এখানকার মায়েরা-বোনেরা কাঁদছেন। প্রশাসনের দরজায় দরজায় ঘুরেও কোনও লাভ হয়নি। কাল সারারাত বোমাবাজি হয়েছে, এর প্রতিক্রিয়া এটাই।”
বিষয়টি নিয়ে বিজেপি শিবিরের একাংশ বিধায়ককে সমর্থন করলেও, মুখ খুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। খানাকুল ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি রমেন প্রমাণিক কটাক্ষ করে বলেন, “বিধায়ক এখন আতাল-মাতালদের নিয়ে নাটক করছেন, নাম দিয়েছেন সমবায় ঘেরাও। ভোটে হার নিশ্চিত বুঝেই উনি এখন শাসকদলকে গালমন্দ করছেন।”
তবে এলাকায় অনেকেই বলছেন, কয়েকদিন আগেই বিধায়ক নিজেই তৃণমূলের ‘কু-কথার রাজনীতি’র বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিলেন। অথচ এবার নিজেই সেই ভাষায় নেমে এলেন। এতে হতবাক অনেকেই। ঘটনাকে কেন্দ্র করে খানাকুলে তৈরি হয়েছে তীব্র রাজনৈতিক উত্তেজনা।