জীবিত তৃণমূল কাউন্সিলরকে খসড়া ভোটার তালিকায় মৃত দেখানো হয়েছে (Election Commission), এই ঘটনা ঘিরে তীব্র শোরগোল শুরু হয়েছে হুগলিতে। ডানকুনি পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর সূর্য দে-কে ভোটার তালিকায় মৃত দেখানো নিয়ে এবার নড়েচড়ে বসল নির্বাচন কমিশন। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক গোটা ঘটনার রিপোর্ট চেয়ে হুগলির জেলাশাসকের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন (Election Commission)।
নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) তরফে জানতে চাওয়া হয়েছে, কার ভুলে একজন সক্রিয় জনপ্রতিনিধিকে মৃত দেখানো হল। সূত্রের খবর, নাম বাদ দেওয়ার আগে বিএলএ-দের সঙ্গে বিএলও-দের বৈঠক হয়েছিল। সেই বৈঠকে সূর্য দে-র নাম বাদ দেওয়ার কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। কিন্তু পরে যখন বিএলও খসড়া ভোটার তালিকা আপডেট করেন, তখনই সূর্য দে-র নাম মৃত ভোটার হিসেবে উঠে আসে। এই ভুল কীভাবে হল, সেটাই এখন কমিশনের প্রধান প্রশ্ন।
দুই মাসে এসআইআর প্রক্রিয়া শেষ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে শুরু থেকেই সরব তৃণমূল। দলের দাবি, কোনও বৈধ ভোটারের নাম বাদ গেলে আন্দোলনে নামা হবে। এই আবহেই দলের এক কাউন্সিলরকে মৃত দেখানো নিয়ে কটাক্ষ করেন তৃণমূল মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তী। সমাজমাধ্যমে তিনি লেখেন, ডানকুনি পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সূর্য দে-র নাম, বুথ নম্বর এবং ক্রমিক নম্বর উল্লেখ করে প্রশ্ন তোলেন, এটি সংশোধন প্রক্রিয়া না কি নিছক ফাজলামি।
ঘটনা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন সূর্য দে নিজেও। প্রতিবাদ জানাতে তিনি শ্মশানে পৌঁছে যান। সেখানে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, তিনি নিজেই নিজের সৎকারের জন্য হেঁটে এসেছেন। একজন জীবিত জনপ্রতিনিধিকে মৃত দেখানো চরম অপমানের বলে দাবি করেন তিনি। নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকদের কটাক্ষ করে তিনি বলেন, চাইলে তাঁকে এসে চুল্লিতে পুড়িয়েও দেওয়া যেতে পারে।
এদিকে ওই বুথের বিএলও কুশ হাজরা দাবি করেছেন, এটি সম্ভবত একটি প্রযুক্তিগত ত্রুটি। তাঁর কথায়, মৃত ভোটারদের যে তালিকা তৈরি হয়েছিল, সেখানে মোট ২১ জনের নাম ছিল, কিন্তু সূর্য দে-র নাম সেই তালিকায় ছিল না। এখনও সংশোধনের সুযোগ রয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।













