Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • Important
  • ফোন ধরছিল না প্রেমিকা, তাই বোমা ফাটিয়ে ডাক! ব্যারাকপুর থেকে গ্রেফতার
জেলা

ফোন ধরছিল না প্রেমিকা, তাই বোমা ফাটিয়ে ডাক! ব্যারাকপুর থেকে গ্রেফতার

arrested a
Email :4

প্রেমিকা মনোমালিন্যের জেরে ফোন তোলা বন্ধ করে দিয়েছে। দেখা করার সুযোগ নেই। সেই প্রেম-হতাশা থেকেই এক অদ্ভুত পরিকল্পনা (Hooghly Bomb Case)। ভাবনা— বোমা ফাটলে প্রেমিকা ভয় পেয়ে বারান্দায় আসবে, তখনই কথা বলা যাবে। সেই পরিকল্পনাকেই বাস্তব রূপ দিতে ইউটিউব দেখে বোমা বানিয়ে ফেলল এক যুবক। এবং চটজলদি গড়িয়ে গেল সব। হুগলির বৈদ্যবাটির মালিরবাগান এলাকায় বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় শেষমেশ পুলিশের জালে ধরা পড়ল ওই যুবক সাগর মালিক এবং তার তিন বন্ধু (Hooghly Bomb Case)।

ঘটনা গত ২৮ অক্টোবর, ছট পুজোর রাত (Hooghly Bomb Case)। স্থানীয় এক বাড়ির দেওয়ালে বোমা ছোঁড়া হয়। বিকট শব্দে এলাকায় আতঙ্ক ছড়ায়, ভেঙে যায় জানালার কাঁচ। সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়ে বাইকে চেপে আসা কয়েক যুবক (Hooghly Bomb Case)। সঙ্গে সঙ্গে তদন্তে নামে শ্রীরামপুর থানার পুলিশ। প্রথমে বাড়ির লোকজন, পরে স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। ফুটেজ দেখে বাইকের খোঁজও শুরু হয়।

তদন্তে উঠে আসে চমকে দেওয়ার মতো তথ্য। মালিরবাগানের এক তরুণীর সঙ্গে প্রেম করত চাঁপদানীর সাগর মালিক। কিছু দিন ধরে তাঁদের সম্পর্ক ভালো যাচ্ছিল না। তরুণী ফোন তোলা বন্ধ করে দেন। এমনকি খবর পান সাগর— প্রেমিকার জীবনে নাকি ঢুকে পড়েছে অন্য কেউ। প্রেমিকার বাড়ির অবস্থান আগে থেকেই জানত সাগর, ভিডিও কলে কথা বলার সময়ই চোখে রেখে দিয়েছিল জায়গাটা। তারপরেই তৈরি হয় পরিকল্পনা— বোমা ফাটলে সে যদি বের হয়, তবে আরেকবার দেখা করে কথা বলা যাবে।

বন্ধুদের সঙ্গে আলোচনা হয়। ইউটিউব দেখে বোমা বানায় সাগর। ছটের রাতে চার বন্ধু গিয়ে বোমা ছোড়ে। কিন্তু বিস্ফোরণের শব্দ এতটাই জোরে হয় যে নিজেরাই ভয় পেয়ে পালিয়ে যায়। পুলিশ পরে সাগর ও তার বন্ধুদের খোঁজ শুরু করলে তাঁরা পলাতক হয়ে পড়ে। মোবাইল টাওয়ারের সূত্র ধরে ব্যারাকপুর থেকে গ্রেফতার করা হয় সাগর মালিক, প্রিন্স যাদব, প্রণীত পাল এবং আয়ুস যাদবকে। বয়স সবারই ১৮ থেকে ২০ বছরের মধ্যে।

চাঞ্চল্যপ্রদ এই ঘটনায় পুলিশ জানিয়েছে, চার জনই বোমা তৈরি থেকে বিস্ফোরণে যুক্ত। ছট পুজোর রাতে প্রেমের নাটক এখন সরাসরি হাজির আদালতে। শুক্রবার ধৃতদের শ্রীরামপুর আদালতে তোলা হবে। তদন্তকারীরা বলছেন, “প্রেমের জন্য অপরাধ— কিন্তু আইন নিজের জায়গায় দৃঢ়।”

এলাকায় এখনও আতঙ্ক, আবার অনেকেই বলছেন— “প্রেমের নামে এ কী পাগলামি!”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts