গত ক’দিনের তপ্ত দাবদাহ আর অসহনীয় গরমে হাঁসফাঁস করছিল গোটা দক্ষিণবঙ্গ। সেই রেহাই দিল বৃষ্টি, যেন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন বাঙালি। কিন্তু এই স্বস্তি বেশিক্ষণ স্থায়ী হচ্ছে না। নিম্নচাপের জেরে যে পরিমাণ বৃষ্টি (Heavy rain) হচ্ছে, তা এখন দক্ষিণবঙ্গবাসীর নতুন মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেক জেলাতেই জল ঢুকে পড়েছে ঘরবাড়ি, রাস্তা, সেতু – পরিস্থিতি ক্রমেই উদ্বেগজনক (Heavy rain)।
সবচেয়ে খারাপ অবস্থা বাঁকুড়ায়। একদিনেই সেখানে বৃষ্টি হয়েছে (Heavy rain) ১৪২ মিলিমিটার! দু’দিন মিলিয়ে বৃষ্টির পরিমাণ ২১০ মিলিমিটার ছুঁয়েছে। প্রবল বৃষ্টিতে শিলাবতী নদীর জল ফুলে উঠেছে, পশ্চিম মেদিনীপুর আর বাঁকুড়ার সীমান্তে রাতভর মুষলধারে বৃষ্টি চলছে। বাঁকুড়ার একাধিক সেতু ইতিমধ্যেই জলের নিচে তলিয়ে গেছে। শুধু শিলাবতী নয়, গন্ধেশ্বরী আর দ্বারকেশ্বরের মতো নদীগুলোও এখন ভয়ংকর রূপ নিচ্ছে (Heavy rain)।

আলিপুর আবহাওয়া দফতর আগাম সতর্কতা জারি করেছে – পুরুলিয়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, বীরভূম, পূর্ব বর্ধমান এবং পূর্ব মেদিনীপুরে আজ সারাদিন ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। কলকাতার আকাশ সকাল থেকেই মেঘে ঢেকে আছে, রোদের মুখ দেখা যায়নি একবারও। শহর ও আশপাশের এলাকায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে।
আর এখানেই শেষ নয়! আবহাওয়া অফিস জানাচ্ছে, এখনই বৃষ্টি থেকে রেহাই মিলছে না। আগামী ২১, ২২ ও ২৩ জুন দক্ষিণবঙ্গের বহু জায়গায় ফের শুরু হবে ঘনঘোর বৃষ্টি, কোথাও কোথাও অতি ভারী বর্ষণের আশঙ্কা রয়েছে।
সত্যিই কি দক্ষিণবঙ্গের সামনে নতুন বিপদ? ফের কি শহর থেকে গ্রাম – সব জায়গা জলের তলায় চলে যাবে? এখন গোটা রাজ্য তাকিয়ে শুধু আকাশের দিকে!