গভীর নিম্নচাপের জেরে ফের বৃষ্টির কবলে দক্ষিণবঙ্গ (Heavy Rain)। গতকাল রাত থেকেই শুরু হওয়া বৃষ্টিতে কলকাতাসহ একাধিক জেলা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। শুক্রবার সকালেও শহরের নানা প্রান্তে জমে রয়েছে হাঁটু সমান জল (Heavy Rain)। বৃষ্টিতে স্বাভাবিক জনজীবন একপ্রকার বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। অফিসপাড়া থেকে শুরু করে স্কুল, কলেজ—সবখানেই দুর্ভোগের ছবি স্পষ্ট।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপ আজ দুপুরের মধ্যেই স্থলভাগে ঢুকে পড়বে (Heavy Rain)। এই নিম্নচাপ বর্তমানে কলকাতা থেকে প্রায় ১৭০ কিলোমিটার এবং সাগরদ্বীপ থেকে ১৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। এটি দক্ষিণবঙ্গের উপর দিয়ে ঝাড়খণ্ডের দিকে অগ্রসর হবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। এর প্রভাবে গোটা দক্ষিণবঙ্গেই ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে (Heavy Rain)।
সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মুখে রয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর ও বাঁকুড়া জেলা (Heavy Rain)। এই দুই জেলায় চরম ভারী বৃষ্টির আশঙ্কায় জারি হয়েছে লাল সতর্কতা। পাশাপাশি, হুগলি, হাওড়া, পূর্ব মেদিনীপুর ও পুরুলিয়ায় অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনায় জারি হয়েছে কমলা সতর্কতা। শুধু তাই নয়, জুলাই মাসের শেষ পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গজুড়ে বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনার কথাও জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
বৃষ্টি ও ডিভিসির ছাড়া জল একত্রিত হয়ে কোথাও কোথাও বন্যার পরিস্থিতির আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে (Heavy Rain)। একাধিক জেলায় বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস থাকায় সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকতে এবং বৃষ্টির সময় নিরাপদ স্থানে থাকার অনুরোধ জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই গতকাল রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বজ্রাঘাতে প্রাণ হারিয়েছেন ১৮ জন।
এই পরিস্থিতিতে যখন দক্ষিণবঙ্গ ভিজছে বৃষ্টিতে, তখন উলটো চিত্র উত্তরবঙ্গে। তীব্র দাবদাহে পুড়ছে উত্তরবঙ্গের জেলা গুলি। বৃষ্টির দেখা নেই বললেই চলে। বালুরঘাটে তাপমাত্রা পৌঁছে গেছে ৩৯.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। জলপাইগুড়ি ও কোচবিহারেও তাপমাত্রা ৩৮ ও ৩৭ ডিগ্রির আশেপাশে। আলিপুরদুয়ারেও একই অবস্থা। উত্তরে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্ত ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও অস্বস্তিকর গরম থেকে আপাতত রেহাই নেই বলেই মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা।