ভোটের আগে রাজ্যজুড়ে জোর চর্চা স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন (SIR) ঘিরে। বিহারে এই প্রক্রিয়ায় ইতিমধ্যেই প্রায় ৫৬ লক্ষ ভোটারের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়েছে। নির্বাচন কমিশনের দাবি, বাদ যাওয়া ভোটারদের মধ্যে প্রায় ২০ লক্ষ মানুষ মৃত এবং ২৮ লক্ষ মানুষ অন্য রাজ্যে স্থানান্তরিত হওয়ায় তালিকা থেকে তাঁদের নাম সরানো হয়েছে (Voter Cards)। তবে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে বিরোধী রাজনৈতিক শিবির একযোগে সরব হয়েছে। বাংলার শাসক দল তৃণমূলও আশঙ্কা করছে, যদি এ রাজ্যেও এমন কিছু ঘটে, তাহলে তারা চুপ করে বসে থাকবে না Voter Cards)।
এই উত্তাল পরিস্থিতির মধ্যেই চাঞ্চল্য ছড়াল আলিপুরদুয়ার জেলার মাদারিহাটে Voter Cards)। সেখানকার রবীন্দ্রনগর থেকে দেওধারী যাওয়ার পথে একটি ছোট সেতুর নিচে নালায় পড়ে থাকতে দেখা গেল একের পর এক ভোটার কার্ডVoter Cards)। স্থানীয় বাসিন্দা উত্তম বিশ্বাস প্রথম বিষয়টি দেখতে পান। কাদা-জলমেশানো নালার পাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ভোটার কার্ড দেখে হতবাক হয়ে যান তিনি। মুহূর্তে এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে খবর, আর ঘটনাস্থলে জড়ো হন কৌতূহলী মানুষজন Voter Cards)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ৩৫টি ভোটার কার্ড উদ্ধার হয়েছে। যেগুলির বেশিরভাগই মাদারিহাট ছাড়াও বীরপাড়া, ফালাকাটা ও ধূপগুড়ি এলাকার বাসিন্দাদের নামে। এই ঘটনায় অমৃত শর্মা নামে এক ব্যক্তি অন্য এক সহবাসিন্দার সঙ্গে মিলে সমস্ত কার্ড মাদারিহাট থানায় জমা দেন।
ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে চাপানউতোর। তৃণমূলের মাদারিহাট নেতা ও আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদের বনভূমি কর্মাধ্যক্ষ দীপনারায়ণ সিনহা বলেন, “ঘটনার কথা আমরা শুনেছি। প্রশাসন ইতিমধ্যেই বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।” অন্যদিকে, বিজেপি নেতা মিঠু দাস বলেন, “এখনও অনেক কিছু দেখার বাকি রয়েছে।”
এই ঘটনায় ভোটার তালিকা সংশোধন প্রক্রিয়া ও নিরাপত্তা নিয়ে আরও প্রশ্ন উঠছে। কার্ডগুলি কীভাবে ও কেন ফেলে দেওয়া হল, তা তদন্ত সাপেক্ষ বলেই মনে করছে প্রশাসন।