রাজারহাট-নিউটাউনের এক যুবকের বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর অভিযোগ উঠেছে—একজনের বাবার নাম ও এপিক নম্বর হুবহু রেখে শুধু ছবি আর ঠিকানা বদলে ভুয়ো ভোটার কার্ড বানানো হয়েছে (Fake voter card)। এই ঘটনায় ভোটার তালিকা থেকে গাইঘাটার বাসিন্দা পরিমল দাসের নাম কেটে দেওয়া হয়েছে।
পরিমল দাস গাইঘাটা থানার সুটিয়া পঞ্চায়েতের তেঘরিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ২০০৩ সালে মাত্র ১৯ বছর বয়সে ভোটার হন এবং তারপর থেকে প্রতিটি নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন। কিন্তু ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের সময় ভোট দিতে গিয়ে তিনি দেখেন তাঁর নাম তালিকায় নেই। পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তাঁর এপিক নম্বরে ভোট দিচ্ছেন রাজারহাট নিউটাউনের এক ব্যক্তি (Fake voter card)। নাম, বাবার নাম, এপিক নম্বর—সবই এক, শুধু ছবি ও ঠিকানা বদলে দেওয়া হয়েছে।
পরিমলের দাবি, এর পেছনে বড় কোনও চক্র (Fake voter card) কাজ করছে। তিনি অভিযোগ করেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাকে জানালেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ভোটাধিকার ফেরত পেতে তিনি গাইঘাটার বিডিও অফিসেও গিয়েছেন। পরিমল বলেন, “প্রথমে বুঝতেই পারিনি কেন ভোট কেটে দিল। পরে অনলাইনে খুঁজে দেখি, কেউ আমার নাম-নম্বর নকল করেছে।”
ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিজেপি নেতা সুব্রত ঠাকুর বলেন, “তৃণমূলের আমলে সবই সম্ভব। যদি ভোটার তালিকা পরীক্ষা করা হয়, ভুয়ো ভোটারের সংখ্যা দেখলে বোঝা যাবে বাংলার অবস্থা।” অন্যদিকে, বনগাঁ জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি নরোত্তম বিশ্বাস বলেন, “যদি এমন হয়ে থাকে, তা একেবারেই অন্যায়। আইন তার নিজস্ব পথে চলবে।”