পঞ্চায়েতে চুক্তিভিত্তিক কর্মী হিসেবে মাসে মাত্র সাড়ে তিন হাজার টাকা মাইনে পান গৌতম সর্দার। অথচ, তাঁর একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে গচ্ছিত রয়েছে প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা! এই অস্বাভাবিক লেনদেনের খবর সামনে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে (Fake Birth Certificate)। ঘটনায় কলকাতা পুলিশের সিকিউরিটি কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন (SCO) গৌতমকে গ্রেফতার করে হেফাজতে নিয়েছে।
ঘটনার সূত্রপাত হয় একটি ভুয়ো জন্ম শংসাপত্র মামলার(Fake Birth Certificate) তদন্ত থেকে। অভিযোগ, পাসপোর্ট বানানোর জন্য ভুয়ো জন্ম শংসাপত্র ইস্যু হচ্ছিল গোসাবার পাঠানখালি পঞ্চায়েত (Fake Birth Certificate)থেকে। সেই তদন্তে উঠে আসে চুক্তিভিত্তিক কর্মী গৌতম সর্দারের নাম। এরপরই তাঁর আর্থিক লেনদেন খতিয়ে দেখে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, বাসন্তীর একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে গৌতমের সেভিংস অ্যাকাউন্টে টাকার গতিবিধি ছিল সন্দেহজনক। ২০২২ সাল থেকে অস্বাভাবিক হারে অ্যাকাউন্টে জমা হতে থাকে টাকা (Fake Birth Certificate)। ২০২৪ সালে এই জমার অঙ্ক আচমকাই কয়েক গুণ বেড়ে যায়। বর্তমানে সেই অ্যাকাউন্টে প্রায় ৩.৫ কোটি টাকা রয়েছে বলে পুলিশের হাতে তথ্য এসেছে।
জিজ্ঞাসাবাদে টাকার উৎস সম্পর্কে কোনও সঠিক উত্তর দিতে পারেননি গৌতম। পুলিশের অনুমান, ভুয়ো জন্ম শংসাপত্র বিক্রির মাধ্যমেই এই টাকা এসেছে। ইতিমধ্যে তদন্তে উঠে এসেছে, গৌতম প্রায় সাড়ে তিন হাজার ভুয়ো জন্ম শংসাপত্র ইস্যু করেছেন। তাঁর সঙ্গে যুক্ত ছিল একাধিক এজেন্ট ও সাব-এজেন্ট।
গৌতমের অ্যাকাউন্টে কখনও অনলাইনে, কখনও সরাসরি অ্যাকাউন্টে টাকা জমা হয়েছে। এমনকি বেশ কয়েকবার নিজেই নগদে মোটা অঙ্কের টাকা জমা দিয়েছেন তিনি। পুলিশের ধারণা, পুরো চক্রটি বড়সড় এবং এর সঙ্গে আরও প্রভাবশালী লোকজন জড়িত থাকতে পারে।
গোটা ঘটনার পেছনে কোন রাঘব বোয়ালদের ভূমিকা রয়েছে, তা খুঁজে বের করতেই এখন জোর তল্লাশি চালাচ্ছে তদন্তকারী সংস্থা। এই ঘটনায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার পঞ্চায়েত স্তরে প্রশাসনিক স্বচ্ছতা নিয়েও বড় প্রশ্ন উঠছে।