তৃণমূলের বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণকে কি তার বাড়ির পুকুর বাঁচাতে পারবে (ED Raid)? এই প্রশ্ন এখন উঠেছে। কারণ, ২০২৩ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত দু’টো বছর কেটে গেলেও, সময় এগিয়েছে, তবুও জীবনকৃষ্ণ প্রায় আগের মতোই উপস্থিত। সোমবার ভোরে ইডি তার বাড়িতে হানা দিলে, তিনি বাড়ির পিছনের পুকুরকে ঢাল বানানোর চেষ্টা করেছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ইডির (ED Raid) তদন্তকারীরা ঢুকতেই জীবনকৃষ্ণ পুকুরে মোবাইল ফোন ফেলেন। তবে এবারও তিনি রেহাই পেলেন না। ফোন দুটি পুকুরপাড়ে পড়ে যায় এবং ইডি আধিকারিকরা তা উদ্ধার করেন (ED Raid)। এখন দেখা হবে এই ফোনগুলিতে কী তথ্য আছে এবং কেন বিধায়ককে তা ফেলে দিতে হয়েছিল।
ইডি হানার (ED Raid) আভাস পেতেই জীবনকৃষ্ণ বাড়ির পিছনের দেওয়াল টপকে পালানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু কেন্দ্রীয় বাহিনী তাকে ধরে ফেলে। এখন তিনি পালাতে পারছেন না।
২০২৩ সালে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জীবনকৃষ্ণের বাড়িতে সিবিআই হানা দিয়েছিল। সেই সময়ও তিনি নাটকীয়ভাবে ছাদ থেকে দুটি মোবাইল ফোন পুকুরে ফেলে দেন। দু’দিন ধরে পাম্প চালিয়ে, কাদা ও জল ঘেঁটে সিবিআই ফোন দুটি উদ্ধার করে। এরপর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে জামিন পাওয়ার পর, তিনি সংবাদমাধ্যমের সামনে দাবি করেছিলেন, তিনি এমন কিছু করেননি।
এদিন ইডি শুধু জীবনকৃষ্ণের বাড়িতেই নয়, আরও চারটি স্থানে তল্লাশি অভিযান চালায়। এসএসসি গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সাঁইথিয়ার ৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মায়া সাহার বাড়িতেও অভিযান চলে। অনুমান, এই তৃণমূল কাউন্সিলরও জীবনকৃষ্ণের পিসি সম্পর্কিত।
এর পাশাপাশি মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জে জীবনকৃষ্ণের শ্বশুরবাড়ি এবং বড়ঞার এক ব্যাঙ্ক কর্মীর বাড়িতেও তল্লাশি চলে। ইডির একটি দল যখন মুর্শিদাবাদে অভিযান চালাচ্ছিল, তখন আরেকটি দল পৌঁছে যায় পুরুলিয়ায় দুর্নীতি মামলায় জড়িত প্রসন্ন রায়ের শ্বশুরবাড়িতে।
এই ঘটনায় এখন সমস্ত দৃষ্টি জীবনকৃষ্ণের ভবিষ্যৎ এবং মামলার পরবর্তী ধাপের দিকে।