বুধবারের পর বৃহস্পতিবারও ফের জল ছাড়ল ডিভিসি। তার সঙ্গে টানা তিন দিনের লাগাতার বৃষ্টি মিলিয়ে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। এর জেরে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে আসানসোল (Asansol) শহর ও সংলগ্ন একাধিক এলাকা। বরাকর নদে জলস্তর অনেকটাই বেড়ে যাওয়ায়, নদীর পাশের বিভিন্ন এলাকায় হঠাৎই জল ঢুকে পড়ে। বরাকর ঘাটের ঝনপুরা, কবরস্থান মহল্লা, বরাকর ফাঁড়ি রোড—এই সব জায়গায় (Asansol) গৃহস্থ বাড়িতে জল ঢুকে গিয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে।
অপরিকল্পিতভাবে জল ঢুকে পড়ায় বহু পরিবারকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে প্রশাসনের তরফে (Asansol)। এছাড়াও দিলদারনগর, রামবন্ধু তালাও, হটন রোড এলাকার বেশ কিছু জায়গাও জলের তলায় চলে গিয়েছে। রাস্তা, দোকানপাট, বাড়িঘর—সবকিছুতেই জল ঢুকে পড়েছে। চরম সমস্যায় পড়েছেন এলাকাবাসীরা (Asansol)।
ডিভিসি সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মাইথন ও পাঞ্চেত জলাধার থেকে মিলিয়ে মোট ৩৭ হাজার কিউসেক হারে জল ছাড়া হয়েছে (Asansol)। এর মধ্যে মাইথন থেকে ছাড়া হয়েছে ২০ হাজার কিউসেক এবং পাঞ্চেত থেকে ছাড়া হয়েছে ১৭ হাজার কিউসেক। এই অতিরিক্ত জলের চাপে শহর ও গ্রামাঞ্চলের নীচু এলাকাগুলোতে প্লাবনের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
বৃষ্টির জেরে দুর্ঘটনাও ঘটেছে। বৃহস্পতিবার সকালে দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে এক বৃদ্ধের (Asansol)। মৃতের নাম উমাপদ মণ্ডল, বয়স ৬৭ বছর। জানা গিয়েছে, তাঁর পুরনো কাঁচা বাড়ির দেওয়াল ভেঙে পড়ে এবং সেই সময় তিনি বাড়ির ভেতরেই ছিলেন। দেওয়ালের নিচে চাপা পড়ে যান তিনি। দ্রুত তাঁকে জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে আসানসোল পুরনিগমের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের জামুরিয়ার বাকশিমুলিয়া এলাকায়।
অন্যদিকে বাঁকুড়া জেলার জয়পুর ব্লকের দ্বারকেশ্বর নদীতে জলস্তর বিপজ্জনকভাবে বেড়ে যাওয়ায় আটকে গিয়েছে ১০ থেকে ১২টি ট্রাক। সেই সব ট্রাককে উদ্ধার করার কাজ শুরু করেছে স্থানীয় প্রশাসন। ইতিমধ্যেই কিছু ট্রাক সরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে বলে খবর।