বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে (Medical College) ডাক্তারি পড়ুয়াকে গণধর্ষণের ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সারা রাজ্যে। ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বড়সড় অগ্রগতি। তিনজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের মোবাইল টাওয়ার লোকেশন ঘিরেই মিলেছে পুলিশের হাতে গুরুত্বপূর্ণ সূত্র (Medical College)।
পুলিশ জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত পাঁচজনকে এই নৃশংস ঘটনায় চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে তিনজনকে ইতিমধ্যেই আটক করা সম্ভব হয়েছে, বাকি দুইজন এখনও পলাতক। ধৃতদের নাম ও পরিচয় আপাতত প্রকাশ করা হয়নি তদন্তের স্বার্থে (Medical College)। পুলিশ জানিয়েছে, পলাতক দুই অভিযুক্তকেও খুব শিগগিরই গ্রেফতার করা হবে।
মোবাইল লোকেশনেই মিলল ব্রেকথ্রু
সূত্রের খবর, ঘটনার দিন নির্যাতিতা (Medical College) নিজের সহপাঠীর সঙ্গে বাইরে গিয়েছিল। সেই সময় তিনজন যুবক এসে তাদের ফোন কেড়ে নেয় ও দুর্ব্যবহার করে। পরে আরও দুইজন সেখানে আসে এবং কী হয়েছে জানতে চায়। নির্যাতিতা তখন জানায়, তার ফোন কেড়ে নেওয়া হয়েছে। ওই দুই যুবকের মধ্যে একজনের ফোন থেকেই মেয়েটি নিজের নম্বরে কল করেছিল।
সেই ফোন নম্বরই পুলিশের হাতে আসে বড় সূত্র হিসেবে। টাওয়ার লোকেশন ও কল রেকর্ড বিশ্লেষণ করে পুলিশ জানতে পারে, নম্বরটি কার নামে এবং কে ব্যবহার করেছিল (Medical College)। তারপর তাকে আটক করে জেরা করা হয়। তার কাছ থেকেই পুলিশ জানতে পারে বাকি অভিযুক্তদের পরিচয়। তদন্তে একে একে উঠে আসে পুরো চক্রের তথ্য। শনিবার গভীর রাত পর্যন্ত অভিযান চলে, এবং শেষে তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
জঙ্গলের ভিতরেই নৃশংসতা, নজরদারিতে ড্রোন
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থলটি একটি গভীর জঙ্গল এলাকা, যেখানে পাকা রাস্তা নেই, আলো বা সিসিটিভি ক্যামেরাও নেই। নির্যাতিতাকে সেখানেই নিয়ে গিয়ে নৃশংসভাবে নির্যাতন করা হয় বলে ধারণা।
তল্লাশি চালাতে পুলিশকে বাইক ও সাইকেল ব্যবহার করতে হচ্ছে, কারণ সেখানে গাড়ি নিয়ে ঢোকা সম্ভব নয়। সাদা পোশাকে পুলিশ ও ড্রোন উড়িয়ে চলছে জঙ্গলে নজরদারি। একইসঙ্গে, নির্যাতিতার গোপন জবানবন্দি রেকর্ড করেছেন এগজিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট।
পুলিশ কমিশনারের হস্তক্ষেপ
শনিবার রাতেই আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশের কমিশনার সরাসরি নির্যাতিতার বাবা ও সহপাঠীর সঙ্গে কথা বলেন। ঘটনার প্রত্যেকটি দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। পুলিশের এক সিনিয়র অফিসার বলেন, “আমরা প্রাথমিকভাবে তিনজনকে গ্রেফতার করেছি। বাকি দুইজনকেও খুব শিগগিরই ধরা হবে। অপরাধীদের কোনওভাবেই ছাড়া হবে না।”