দুর্গাপুরের বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের (Durgapur case) অভিযোগ ঘিরে রাজ্যজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া অব্যাহত। এই ঘটনায় রাজনৈতিক চাপানউতোরও ক্রমেই বাড়ছে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেছেন, নির্যাতিতার বাবাকে এখনও মেডিক্যাল রিপোর্ট দেওয়া হয়নি। এমনকি চিকিৎসকদেরও মুখ বন্ধ রাখতে বলা হচ্ছে বলে দাবি তাঁর।
এই প্রেক্ষিতেই সোমবার আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের দফতরে সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ খুললেন পুলিশ কমিশনার সুনীল কুমার চৌধুরি । তিনি বলেন, “দুর্গাপুর গণধর্ষণ-কাণ্ডে পাঁচ অভিযুক্তকেই গ্রেফতার করা হয়েছে (Durgapur case) । তদন্ত সঠিক পথে এগোচ্ছে। শুরু থেকেই পুলিশ নির্যাতিতা ও তাঁর পরিবারের পাশে রয়েছে।”
কমিশনার জানান, নির্যাতিতার (Durgapur case) পরিবারের হাতে পুলিশের সমস্ত আধিকারিকদের ফোন নম্বর তুলে দেওয়া হয়েছে, যাতে তারা যে কোনও সময়ে যোগাযোগ করতে পারেন। হাসপাতালেই নির্যাতিতার নিরাপত্তার জন্য ২৪ ঘণ্টা পুলিশি প্রহরার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি, পরিবারকেও প্রহরা দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, তবে নির্যাতিতার বাবা সেই প্রহরা নিতে রাজি হননি।
পুলিশ কমিশনার বলেন, “আমরা চাই দোষীরা সর্বোচ্চ শাস্তি পাক। কোনওভাবে তদন্তে ঢিলেমি হবে না।” তিনি আরও জানান, মঙ্গলবার আবার সাংবাদিক বৈঠক করে তদন্তের অগ্রগতি জানানো হবে।
দুর্গাপুরের এই ভয়াবহ ঘটনায় (Durgapur case) মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই বলেছেন, “কেউ ছাড়া পাবে না।” তিনি পুলিশকে কঠোর পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছেন। তবে বিরোধীরা দাবি করছে, সরকার সত্য গোপন করছে। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “চিকিৎসকদের উপর চাপ তৈরি করা হচ্ছে যাতে কেউ মুখ না খোলে। পুরো ঘটনা ঢাকতে চাইছে প্রশাসন।”
পুলিশ কমিশনারের বক্তব্যে এই বিতর্কে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। প্রশাসন বলছে, সব তথ্য পরিবারকে জানানো হচ্ছে, আর বিরোধী দল বলছে, তথ্য গোপন রাখা হচ্ছে— এই দ্বন্দ্বেই এখন দুর্গাপুর কাণ্ডের তদন্ত এগোচ্ছে।