পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘায় এক যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যুকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে (Digha)। স্থানীয়দের অভিযোগ, এক বিবাহিত মহিলার সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িত থাকার সন্দেহেই তাপস মাইতি নামে ২৯ বছরের এক যুবককে চোর বলে দাগিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় (Digha)। দীর্ঘ ঘণ্টাখানেক মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে সোমবার দুপুরে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
তাপস মাইতির বাড়ি দিঘা মোহনা কোস্টাল থানার খাদালগোবরা এলাকায়। রবিবার গভীর রাতে তিনি দিঘা থানার পদিমা ১ গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ের পাশের রাস্তায় ছিলেন (Digha)। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দিঘার মেদিনীপুর গ্রামের এক বিবাহিত মহিলার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল। মহিলার পরিবারের লোকজন নাকি বেশ কিছুদিন ধরে তাপসকে নজরে রেখেছিল। সেদিন রাতে তাঁকে দেখা মাত্রই তাঁরা ‘চোর চোর’ চিৎকার শুরু করেন এবং দল বেঁধে তাপসকে ধরে নৃশংসভাবে মারধর করেন (Digha)।
মারধরের পর গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় বাসিন্দারা তাপসকে উদ্ধার করে দিঘা রাজ্য সাধারণ হাসপাতালে ভর্তি করেন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয় কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে। সেখানেই সোমবার দুপুরে তাঁর মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে হাসপাতালের মর্গে পৌঁছে মৃতদেহ শনাক্ত করেন তাপসের বাবা তপন মাইতি ও পরিবারের সদস্যরা।
ঘটনার পর এলাকায় তীব্র উত্তেজনা ছড়ায়। স্থানীয়রা অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান। দিঘা থানার ওসি অমিত প্রামাণিক জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ জমা পড়েনি, তবে পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে তদন্ত শুরু করেছে (Digha)। ঘটনাস্থল থেকে তাপসের বাইক উদ্ধার করা হয়েছে এবং কয়েকজন সন্দেহভাজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। পুলিশের অনুমান, প্রেমঘটিত সন্দেহ থেকেই এই পরিকল্পিত আক্রমণ।
পরিবারের দাবি—তাপসকে ফাঁসানোর জন্য প্রথমে তাঁকে চোর বলে চিৎকার করা হয়, তারপর শুরু হয় মারধর, যা শেষ পর্যন্ত তাঁর প্রাণ কেড়ে নেয়। পুরো দিঘা এলাকা এখন উত্তপ্ত, এবং মানুষ পুলিশের দ্রুত পদক্ষেপের অপেক্ষায়।












