ডানকুনিতে (Dankuni) জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণ ঘিরে নতুন করে বিতর্ক। কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রকের উদ্যোগে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়ককে ছয় লেনে রূপান্তরিত করার কাজ শুরু হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে ইতিমধ্যেই অধিগ্রহণ করা হয়েছে প্রায় ৩১ বিঘা জমি। কিন্তু এই জমি অধিগ্রহণ ঘিরে রীতিমতো ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা (Dankuni) ।
ডানকুনি (Dankuni) পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের অভিযোগ, বিনা নোটিসে, কোনও রকম পূর্বঘোষণা ছাড়াই তাঁদের জমি দখল করে নিয়েছে প্রশাসন। তাদের দাবি, এই অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ায় কোনও নিয়ম মানা হয়নি। নেই কোনও সরকারি চিঠি, আলোচনার তো প্রশ্নই ওঠে না। আর তার ওপর ক্ষতিপূরণও দেওয়া হয়নি বলে ক্ষোভ আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
একজন স্থানীয় (Dankuni) বাসিন্দা বলেন, “কোনও নোটিস নেই, কোনও রকম পরিকল্পনা জানানো হয়নি। আমরা হঠাৎই দেখি আমাদের জমি সরকারি মালিকানায় চলে গিয়েছে। এমনকি জমির রেকর্ডে গিয়ে দেখি, আমাদের নামটাই নেই! গোল করে ঘিরে ৩১ বিঘা জমি একরকম দখল করে নিয়েছে সরকার। ক্ষতিপূরণ দিলেও নেব না। আর ক্ষতিপূরণ পেলেও সেই টাকায় এখন জমি কিনব কোথায়?”
ওই এলাকার তৃণমূল কাউন্সিলর হাসান মণ্ডলও (Dankuni) এই ঘটনায় সরব হয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, “ডানকুনির টোলিং প্লাজা লাগোয়া পশ্চিম দিকে যেসব পরিবার বসবাস করতেন, তাঁদের হঠাৎই তুলে দেওয়া হল। কোনওরকম নোটিস দেওয়া হয়নি, আলোচনা হয়নি, পরিকল্পনার ছিটেফোঁটাও নেই। রাতের অন্ধকারে লাইন টেনে জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। এটা কখনও সুষ্ঠু পদ্ধতি হতে পারে না। জমি অধিগ্রহণের একটা নির্দিষ্ট নিয়ম আছে, যা এই ক্ষেত্রে মানা হয়নি।”
এই ঘটনায় কেন্দ্রীয় সরকার ও প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশও। স্থানীয়দের অভিযোগ যদি সত্যি হয়, তাহলে এটি আইনি ও মানবিক দুই দিক থেকেই গুরুতর ঘটনা।