জগদ্ধাত্রী পুজোর আনন্দঘন পরিবেশে ফের অঘটন চন্দননগরে। ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে মৃত্যু হল এক মহিলার। বুধবার দুপুরে কলুপুকুর এলাকায় জগদ্ধাত্রী পুজোর মণ্ডপের সামনেই লরির ধাক্কায় ( Chandannagar Accident) প্রাণ হারালেন চুঁচুড়ার মতিঝিলের বাসিন্দা শিবানী দাস (৫২)। গুরুতর আহত হয়েছেন তাঁর স্বামী তরুণকান্তি দাস।
জানা গিয়েছে, অষ্টমীর সকালে দম্পতি বাইকে চেপে ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিলেন ( Chandannagar Accident) । কলুপুকুর মণ্ডপের কাছে পৌঁছতেই পিছন দিক থেকে একটি লরি ধাক্কা মারে তাঁদের বাইকে ( Chandannagar Accident) । ধাক্কার জেরে রাস্তায় ছিটকে পড়েন দু’জনেই। ঠিক সেই সময়ই অন্য একটি লরি চলে যায় শিবানীর শরীরের উপর দিয়ে। মুহূর্তের মধ্যে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। স্থানীয়রা চিৎকার করে ছুটে আসেন, কিন্তু ততক্ষণে যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে।
স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে লরি ও চালককে আটক করে ( Chandannagar Accident) । জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনাগ্রস্ত লরিটি মানকুন্ডুর একটি পুজো কমিটির। পুজোর আলোকসজ্জার কাজের জন্যই লরিটি তখন মণ্ডপ এলাকায় যাতায়াত করছিল। চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী পুজোর সময় সাধারণত ভারী যানবাহন চলাচলে কড়া নিষেধাজ্ঞা থাকে। দুপুর থেকে নো এন্ট্রি জারি থাকলেও কোনওভাবে ওই লরি এলাকায় ঢুকে পড়েছিল বলেই প্রাথমিক অনুমান।
পুজো কমিটির এক সদস্য জানিয়েছেন, “ভিতরে ঢাক বাজছিল। হঠাৎ বাইরে চিৎকার শুনে দৌড়ে এসে দেখি রাস্তায় রক্তে ভেসে পড়ে আছেন এক মহিলা ( Chandannagar Accident) ।” ঘটনার খবর পেয়ে চন্দননগর পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়।
স্থানীয় কাউন্সিলর ওম প্রকাশ মাহাত জানিয়েছেন, “মানকুন্ডু আদি পালপাড়ার একটি লরি দুর্ঘটনার সঙ্গে জড়িত। আমরা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছি। আগামিদিনে কোনও লরি যেন খালাসি ছাড়া রওনা না দেয়, সেই ব্যবস্থা করা হবে।”
মৃতা শিবানী দাসের পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। তাঁদের বড় মেয়ে ও জামাই বর্তমানে বেঙ্গালুরুতে থাকেন। ইতিমধ্যেই তাঁদের দুর্ঘটনার খবর জানানো হয়েছে। স্বামী তরুণকান্তি দাস বর্তমানে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজো রাজ্যের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী উৎসব। সেই আনন্দের মধ্যেই এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনা স্তব্ধ করে দিয়েছে গোটা শহরকে। পুজোর আলো, বাজনা আর ভিড়ের মাঝেই এক পরিবারের আনন্দ মুহূর্তে পরিণত হল শোকে।





