বনগাঁর চাঁদপাড়ায় CAA সহায়তা শিবিরের আয়োজন করলেন বনগাঁ দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদার। ‘বাঙালি ঐক্যমঞ্চ’-এর ব্যানারে এই ক্যাম্পে মূল উদ্দেশ্য— নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA) নিয়ে মানুষের মধ্যে থাকা বিভ্রান্তি দূর করা। বিধায়কের দাবি, বাংলাদেশ থেকে আসা বহু মানুষ এই শিবিরে অংশ নিয়েছেন। তিনি ঘোষণা করেছেন, চাঁদপাড়ায় স্থায়ীভাবে এমন শিবির চালানো হবে।
স্বপন মজুমদারের কথায়, “আইন পাশ করে নাগরিকত্ব দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। সংখ্যালঘু ভোটের জন্য বাংলায় রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের তোষণ করা হচ্ছে। তাই বিষয়টা সাধারণ মানুষের কাছে সহজ করে বোঝাতে এবং প্রয়োজনীয় নথি তৈরি করতে এই শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে, যাতে সবাই আগামী CAA আবেদনপত্র জমা দিতে পারেন।”
শিবিরে আসা স্থানীয় নাগরিক অভিজিৎ বিশ্বাস বলেন, “আমরা ভয়ের মধ্যে রয়েছি— হিন্দু বাঙালিরা এখানে ভোটাধিকার ও নাগরিকত্ব পাব কিনা, আমাদের এখান থেকে তাড়ানো হবে কিনা— এসব বুঝতে এসেছি।”
অন্যদিকে, বিজেপির এই CAA শিবিরকে ‘ভাঁওতাবাজি’ বলে তীব্র সমালোচনা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস বলেন, “প্রতিটি নির্বাচনের সময়ই বিজেপি CAA নিয়ে ভয় দেখায়। ভোট শেষ হলে আর কোনও খবর থাকে না। বাংলার মানুষ বুঝে গিয়েছে, ওরা অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে রাজ্যকে ধ্বংসের পথে ঠেলে দিচ্ছে। বাংলায় NRC করা সম্ভব নয়, আর মানুষেরও এসব নাটকে ভরসা নেই।”
এর আগেও বাগদা, ঠাকুরনগর এবং মতুয়া অধ্যুষিত বনগাঁ মহকুমার বিভিন্ন এলাকায় বিজেপি নেতারা নাগরিকত্ব ফর্ম ফিলআপ করানোর শিবির করেছেন। ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে SIR আবহে CAA নিয়ে রাজনীতি যে আরও উত্তপ্ত হবে, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই অভিযোগ করেছেন, SIR-এর নামে বাংলায় NRC চালু করার চেষ্টা করছে বিজেপি। গত সপ্তাহে ঝাড়গ্রামের সভা থেকেও তিনি রাজ্যবাসীকে সতর্ক করেছেন। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আগামী নির্বাচনে CAA আবারও বড় ইস্যু হয়ে উঠবে।