কালীগঞ্জে উপনির্বাচনের (By Elections) দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ। আর মাত্র দশদিন পর, ১৯ জুন সেখানে ভোটগ্রহণ। নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গ সহ চার রাজ্যে হতে চলেছে এই উপনির্বাচন (By Elections) । ফলাফল ঘোষণা হবে ২৩ জুন। তার আগেই ভোটের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কালীগঞ্জে মোতায়েন করা হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই ১৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পৌঁছে গিয়েছে এলাকায়। সকাল থেকে শুরু হয়েছে রুটমার্চ। রাজ্য পুলিশের সঙ্গে মিলে পাড়ায় পাড়ায় টহল দিয়েছেন জওয়ানরা। স্থানীয়দের সঙ্গেও কথা বলতে দেখা গিয়েছে তাঁদের।
কালীগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রটি (By Elections) ১৩টি পঞ্চায়েত নিয়ে গঠিত। প্রতিটি এলাকাতেই কেন্দ্রীয় বাহিনী ঘুরে ঘুরে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছে। এদিন সকালে বড়চাঁদঘর পঞ্চায়েতের নলদাপাড়া এলাকায় দেখা যায় জওয়ানদের রুটমার্চ। সাধারণ মানুষের মধ্যেও ভোটকে ঘিরে উত্তেজনা স্পষ্ট। অনেকেই বাহিনীর এই প্রস্তুতিকে স্বাগত জানিয়েছেন।

২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী নাসিরুদ্দিন আহমেদ বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছিলেন। তিনি ১ লক্ষ ১১ হাজারের বেশি ভোটে পরাজিত করেছিলেন বিজেপির অভিজিৎ ঘোষকে। কিন্তু চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন নাসিরুদ্দিন আহমেদ। হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও শেষরক্ষা হয়নি। তাঁর মৃত্যুর পর থেকেই বিধায়ক শূন্য এই আসন (By Elections) ।
নাসিরুদ্দিনের মৃত্যুর পর কে হবেন কালীগঞ্জের নতুন জনপ্রতিনিধি, তা জানতে উৎসুক ছিলেন এলাকার মানুষ। এবার সেই প্রশ্নের উত্তর মিলবে উপনির্বাচনের মাধ্যমে। তৃণমূল কংগ্রেস এই কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করেছে প্রয়াত বিধায়কের কন্যা আলিফা আহমেদকে। অন্যদিকে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন আশিস ঘোষ। দুই তরুণ প্রার্থীর লড়াইকে কেন্দ্র করে জমে উঠছে ভোটের ময়দান। আগামী কয়েকদিনে প্রচারের ঝাঁজ আরও বাড়বে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।