পূর্ব বর্ধমানের (Burdwan) ভাতার থানার অন্তর্গত নতুনগ্রামে ঘটে গেল এক ভয়ঙ্কর ও চাঞ্চল্যকর ঘটনা। অভিযোগ, রাতে প্রতিবেশী এক যুবকের ঘরে ঘুমাতে গিয়েছিল একটি নাবালক। কিন্তু মদ্যপ অবস্থায় সেই যুবক হঠাৎই নাবালকটির উপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। একাধিকবার কোপ মেরে গুরুতর জখম করে তাকে। শুধু তাই নয়, ওই যুবক নিজেকেও রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আহত নাবালকের (Burdwan) বাবা-মা দু’জনেই পরিযায়ী শ্রমিক। তারা বাইরে কাজ করেন বলে নাবালকটি দাদুর সঙ্গেই থাকে। প্রতিবেশী যুবক বাবুলাল হেমব্রমের সঙ্গে তাদের দীর্ঘদিনের পরিচয় ছিল। সেই সুবাদে ওই নাবালক প্রায়ই (Burdwan) বাবুলালের ঘরে ঘুমাতে যেত। শনিবার রাতেও সে বাবুলালের ঘরে গিয়েছিল। বাবুলাল আগে একটি লরির খালাসি হিসেবে কাজ করতেন, তবে এক দুর্ঘটনায় পায়ে আঘাত পাওয়ার পর থেকে আর বাইরে যান না। তাঁর মদ্যপানের অভ্যাস রয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।
রবিবার সকালে আচমকাই ওই নাবালক রক্তাক্ত অবস্থায় কাঁদতে কাঁদতে নিজের বাড়ি ফিরে আসে (Burdwan) । দাদুকে জানায়, বাবুলাল তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মারাত্মকভাবে কোপেছে। এরপরেই প্রতিবেশীরা বাবুলালের খোঁজ করতে গিয়ে দেখেন, রাস্তার মধ্যেই পড়ে আছেন তিনি, তিনিও রক্তাক্ত। স্থানীয়রা দাবি করেছেন, বাবুলাল নিজেই স্বীকার করেছেন যে মদের নেশায় সে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে।
ঘটনার খবর পেয়ে ভাতার থানার পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। নাবালকটির অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তৎক্ষণাৎ তাকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অভিযুক্ত বাবুলাল হেমব্রমকেও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। কী কারণে এমন ভয়ঙ্কর হামলা, নাবালকের উপর কেন এমন নৃশংসতা—তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।