বারুইপুরে (Baruipur) বিজেপির বুথ সভাপতি রাজীব বিশ্বাস (২২)-কে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছে তাঁর নিজের বাবা নিতাই বিশ্বাস ও ছোট ভাই সন্দীপ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে। রাজীব ছিলেন বারুইপুর (Baruipur) পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের ১২৯ নম্বর বুথের সভাপতি। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটে ৮ আগস্ট রাতে। অভিযোগ, শুধুমাত্র বিজেপি রাজনীতিতে সক্রিয় থাকার কারণে রাজীবকে তাঁর বাড়িতেই বেধড়ক মারধর করা হয়। তাঁর মাথায় গুরুতর আঘাত লাগে এবং ধারাল অস্ত্র দিয়ে শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাত করা হয়।
রাজীবের সহকর্মীদের (Baruipur) দাবি, মারধরের পর তাঁকে চিকিৎসার ব্যবস্থা না করে বাড়িতেই ফেলে রাখা হয়। পরের দিন ৯ আগস্ট রাতে তাঁর মৃত্যু হয়। অভিযোগ, মৃতদেহই অ্যাম্বুলেন্সে করে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে চিকিৎসকরা জানান, রাজীবকে আনার আগেই তিনি মারা গিয়েছিলেন। খবর পেয়ে পুলিশ দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠায়।
বিজেপির বারুইপুর (Baruipur) পশ্চিম এক নম্বর মণ্ডল সভাপতি গৌতম চক্রবর্তীর অভিযোগ, মৃতের বাবা ও ভাই তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী এবং এই খুনে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা জড়িত। তাঁর দাবি, ঘটনার পর অভিযুক্তরা বারুইপুর হাসপাতালের তৃণমূল ইউনিয়নের সঙ্গেও যোগাযোগ রেখেছিল।
অন্যদিকে, বারুইপুর পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর অর্চনা মল্লিক বলেছেন, এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই, এটি সম্পূর্ণ পারিবারিক বিবাদ। রাজীবের এক প্রতিবেশী বন্দনা বিশ্বাস জানান, রাত দেড়টার দিকে তিনি রাজীবকে মারধরের শব্দ শুনেছিলেন, যদিও এই পরিবার কারও সঙ্গে তেমন মিশত না বলে এলাকায় কেউ তাঁদের বাড়িতে যেত না। ঘটনার পর থেকে রাজীবের বাবা, ভাই ও মা পলাতক।