হুগলির সিঙ্গুরের একটি নার্সিংহোমে (Nursing Student) প্রশিক্ষণরত এক নার্সের রহস্যমৃত্যু ঘিরে শুরু থেকেই তোলপাড় চলছে। প্রথমে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ তোলা হয়েছিল যে মেয়েকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। মৃত নার্সের (Nursing Student) বাবার সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে হুগলি গ্রামীণ পুলিশ।
এরই মধ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে পুলিশি তদন্তে। ইতিমধ্যেই মৃত নার্সের (Nursing Student) প্রেমিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আদালতের নির্দেশে তাকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে, ধৃত জানায় যে ঘটনার দু’দিন আগে, অর্থাৎ ১০ আগস্ট, তারা দু’জনে ডানকুনি থানার একটি হোটেলে একসঙ্গে রাত কাটিয়েছিল। শুধু তাই নয়, অতীতেও তারা একাধিকবার একসঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে গিয়েছিল এবং হোটেলে থেকেছিল।
ধৃত প্রেমিক (Nursing Student) পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে যে সম্প্রতি মৃত নার্স তাকে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিল। কিন্তু সে বারবার নানা অজুহাতে বিয়ের প্রস্তাব এড়িয়ে যাচ্ছিল। এই কারণে মেয়েটি মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। প্রেমিকের দাবি, সেই মানসিক অবসাদ থেকেই ওই নার্স গলায় ওড়নার ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত প্রেমিক কাজ করত একটি বেসরকারি নার্সিংহোমের ডায়ালিসিস বিভাগে। সেখানেই পরিচয় হয়েছিল মৃত নার্সের সঙ্গে। পরে ধীরে ধীরে তাদের সম্পর্ক গভীর হয়।
প্রথমে এই ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করেছিল পুলিশ। কিন্তু পরিবারের তরফে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর খুনের মামলা রুজু করা হয়। ইতিমধ্যেই এই মামলায় দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ, যার মধ্যে রয়েছে মৃতার প্রেমিকও। তবে প্রেমিকের আত্মহত্যার দাবি সত্যি কি না, নাকি এর পেছনে অন্য কোনও রহস্য লুকিয়ে আছে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।