মালদা জেলার (Maldah) রতুয়া বিধানসভার দুর্গাপুরের দেবীপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় একটি নির্মীয়মান মন্দির ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। শনিবার রাতে সেখানে (Maldah) ইটবৃষ্টি ও লুটপাটের অভিযোগ তুলেছে রাজ্য বিজেপি। দলটির দাবি, মন্দিরের পাশাপাশি স্থানীয় হিন্দুদের বাড়ি ও দোকানে ইট ছোঁড়া হয়েছে, এমনকি গোশালা থেকে গরু লুঠ হয়েছে বলেও অভিযোগ (maldah)।
ঘটনার তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে শুভেন্দু অধিকারী লেখেন, “আবারও রাতের অন্ধকারে রতুয়ায় জেহাদিদের আক্রমণের শিকার সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। মন্দির নির্মাণের অপরাধে চলেছে নির্বিচারে ইটবৃষ্টি। পুলিশ যথারীতি অনুপস্থিত—কারণ তারা যাদের ধরবে, তারা তো মুখ্যমন্ত্রীর ‘স্নেহধন্য’।”
তিনি আরও বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশে রাজ্যের যেকোনও উত্তপ্ত এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা সম্ভব, এবং প্রয়োজনে স্থায়ী ক্যাম্প গড়ে তোলার কথাও ভাবা হচ্ছে। শুভেন্দুবাবুর দাবি, “রাজ্য প্রশাসন যদি দ্রুত ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে তাঁদের এই ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া উচিত।”
বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ করেছেন সুকান্ত মজুমদারও। তাঁর অভিযোগ, “ধূলিয়ান ও সামশেরগঞ্জের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে মালদাতেও। একটি মন্দির নির্মাণকে কেন্দ্র করে বহুদিন ধরেই হুমকি পাচ্ছিলেন স্থানীয় হিন্দুরা। শনিবার রাতে সেই আশঙ্কাই সত্যি হল—বাড়ি-ঘর, দোকান ভাঙচুর করা হয়েছে, গরু-বাছুর চুরি হয়েছে।” তিনি রাজ্য পুলিশের ভূমিকাতেও প্রশ্ন তুলে বলেন, “এত বড় হামলার পরেও পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ কার্যত নিষ্ক্রিয় থেকেছে। আদালতের একের পর এক পর্যবেক্ষণের পরেও প্রশাসনের মধ্যে কোনও পরিবর্তন নেই। যদি দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তাহলে বিজেপি বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে।”
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পুলিশের পক্ষ থেকে কোনও অফিসিয়াল বিবৃতি পাওয়া যায়নি। ঘটনার সত্যতা, হামলার পরিপ্রেক্ষিত ও কারা জড়িত—তা জানতে তদন্ত চলছে বলেই প্রশাসন সূত্রের খবর। সম্প্রতি রাজ্যের মুর্শিদাবাদ জেলায় একাধিক সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার ঘটনায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই মালদার এই ঘটনার গুরুত্ব আরও বেড়েছে।