রাস্তায় কাদা জমে, গাড়ি আটকে গিয়েছিল মাঝপথে (Beldah)। সেই মুহূর্তে শুরু হল প্রবল প্রসব যন্ত্রণা। অবস্থা এমন দাঁড়ায় যে, হাসপাতাল পৌঁছনোর আগেই, গাড়ির মধ্যেই সন্তানের জন্ম দিতে বাধ্য হলেন এক প্রসূতি (Beldah)। আর সেই অসাধ্য সাধন করলেন প্রশিক্ষণহীন এক আশা কর্মী মানসী পাত্র। কুর্নিশ জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর (Beldah)। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে—বর্ষার মরসুমে কেন এমন বিপজ্জনক রাস্তা (Beldah)?
ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড় ব্লকের ঝোপগেরিয়া গ্রামে। বুধবার সকাল থেকেই প্রবল যন্ত্রণায় ছটফট করছিলেন গর্ভবতী সোনালী সিং। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে গাড়ি করে রওনা দেয় পরিবার। কিন্তু মাঝপথেই কাদার রাস্তা বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। গাড়ির চাকা নড়তেই চাইছিল না। ঠিক তখনই গাড়িতে উপস্থিত ছিলেন আশা কর্মী মানসী পাত্র।
প্রসব যন্ত্রণার তীব্রতা বাড়তেই, মানসী নিজের দায়িত্ব নিজেই নেন। কোনও পেশাদার প্রশিক্ষণ না থাকা সত্ত্বেও, গাড়িতেই তিনি প্রসব করান। শিশুটি প্রথমে কাঁদছিল না, তখনও মানসী সাহস হারাননি। সময়মতো করণীয় করে বাঁচিয়ে দেন মা ও সন্তান—দুজনকেই। পরে অন্য গাড়ির সাহায্যে তাঁদের বেলদা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে মা ও শিশু দু’জনেই সুস্থ আছেন।
স্থানীয় ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক আশীষ মণ্ডল জানিয়েছেন, আগের রাতের বৃষ্টিতে রাস্তা ছিল অত্যন্ত কাদাময়। কৃষিকাজে ব্যবহৃত ভারী যান চলাচলের কারণে কাদা জমে রাস্তাটি কার্যত অচল হয়ে পড়ে। তিনি বলেন, “রাস্তা পরিষ্কারের দায়িত্ব প্রশাসনের হলেও, এখানে তা ছিল সম্পূর্ণ অপ্রস্তুত।”
পরদিন গ্রামবাসীরা নিজেরাই ট্রাক্টর ও কোদালের সাহায্যে রাস্তা পরিষ্কার করেন। নবজাতকের বাবা সুব্রত সিং বলেন, “ভাবিনি এই রাস্তায় এমন বিপদ হবে। আশা দিদির জন্যই আমরা সন্তান ও মাকে নিয়ে নিরাপদে হাসপাতালে পৌঁছাতে পেরেছি। তিনি দেবী!”