বঙ্গোপসাগরে (Bay of Bengal) কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ফের ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটল। শনিবার ভোররাতে একটি ট্রলার ডোবার পর দুপুরে ফের কেঁদো দ্বীপের কাছে এক ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে। এদিন দুপুরে সমুদ্রের উত্তাল ঢেউয়ের (Bay of Bengal) ধাক্কায় এফবি মা দুর্গা নামের একটি মাছ ধরার ট্রলারের পাটাতন ফেটে যায়। মুহূর্তের মধ্যেই ট্রলারের ভেতর জল ঢুকতে শুরু করে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা ডুবে যায় সমুদ্রের গভীরে।
ট্রলারটি ডুবে যেতে দেখে মাঝ সমুদ্রেই আতঙ্কে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করেন ট্রলারটির (Bay of Bengal) ১৬ জন মৎস্যজীবী। তাঁদের আর্তনাদ শুনে ছুটে আসেন আশপাশে মাছ ধরতে থাকা অন্য ট্রলারের জেলেরা। তাঁদেরই তৎপরতায় প্রাণে রক্ষা পান মা দুর্গা ট্রলারে থাকা সকলেই। জানা গিয়েছে, ওই মৎস্যজীবীদের নিরাপদে পাথরপ্রতিমা ঘাটে নিয়ে আসা হচ্ছে।
জেলেরা জানিয়েছেন, শুক্রবার নামখানা থেকে গভীর সমুদ্রে (Bay of Bengal) ইলিশ ধরতে রওনা দিয়েছিল মা দুর্গা ট্রলারটি। একদিনের মধ্যেই এমন বিপদ ঘটবে, তা কেউই কল্পনা করতে পারেননি।
এই ঘটনার কয়েক ঘণ্টা আগেই, ভোরে এফবি শাকিলা নামের আরেকটি ট্রলারেও একইরকম বিপত্তি ঘটে (Bay of Bengal)। সেখানেও ১৩ জন মৎস্যজীবী ছিলেন। সমুদ্রের উত্তাল ঢেউয়ে ট্রলার ক্ষতিগ্রস্ত হয়, আর সেই সময় পাশেই থাকা অন্য ট্রলারের জেলারাই তাঁদের উদ্ধার করেন।
এই পরপর দুটি ঘটনার পর ট্রলারগুলির রক্ষণাবেক্ষণ এবং সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন মৎস্যজীবীদের একাংশ। তাঁরা বলছেন, সমুদ্র এখন প্রবল উত্তাল। ঢেউয়ের ধাক্কায় দুর্বল কাঠামোর ট্রলার টিকতে পারছে না। বহু ট্রলারেই পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেই, আর সেই কারণেই বারবার ঘটছে বিপজ্জনক দুর্ঘটনা।
মৎস্যজীবী সংগঠনগুলির দাবি, গভীর সমুদ্রে যাওয়ার আগে ট্রলারগুলির স্বাস্থ্য পরীক্ষার বাধ্যতামূলক ব্যবস্থা চালু করা উচিত। তা না হলে সামনে আরও বড় বিপদ অপেক্ষা করে থাকতে পারে।