বাঁকুড়ার (Bankura) ভূতশহর বগায় ঘুমন্ত ঘর থেকে হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে গেল মাত্র দেড় বছরের এক শিশু কন্যা। বাবা ঘরের বাইরে ঘুমোচ্ছিলেন, আর তখনই ঘটে যায় এই মর্মান্তিক ও রহস্যময় ঘটনা। শিশুটি নিখোঁজ হতেই কান্নায় ভেঙে পড়েছে পরিবার। গোটা এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে আতঙ্ক ও উদ্বেগ (Bankura)।
শিশুটির বাবা প্রশান্ত বাউড়ি, যিনি স্ত্রী ও দুই কন্যাকে নিয়ে অভাবের মধ্যেও শান্তিপূর্ণভাবে সংসার চালাচ্ছিলেন (Bankura)। বুধবার রাতেও তাঁর জীবনে কোনও অশান্তির চিহ্ন ছিল না। গরমের কারণে তিনি বাইরে ঘুমোচ্ছিলেন। কিন্তু ভোর চারটেয় ঘরে ঢুকেই তাঁর জগৎ ওলটপালট হয়ে যায়। বিছানায় ছোট মেয়েকে দেখতে না পেয়ে প্রথমে মনে করেন, হয়তো স্ত্রীর কোলেই ঘুমোচ্ছে। কিন্তু কিছুক্ষণ খোঁজার পরই বোঝা যায়—মেয়ে ঘরে নেই (Bankura)!
ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই নড়েচড়ে বসে স্থানীয় প্রশাসন। ভোররাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছন বাঁকুড়া সদর থানার আইসি সুজয় তুঙ। সঙ্গে সঙ্গে গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে শুরু হয় তল্লাশি। স্থানীয় বাসিন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদ থেকে শুরু করে আশেপাশের বাড়িগুলিও তন্নতন্ন করে খোঁজা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সিদ্ধার্থ দর্জিও। তিনি জানিয়েছেন, “এটি অত্যন্ত গুরুতর ও স্পর্শকাতর ঘটনা। রাতের অন্ধকারে একটি শিশু কীভাবে নিখোঁজ হয়ে গেল, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। প্রয়োজনে ডগ স্কোয়াড নামিয়ে তল্লাশি চালানো হবে।”
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, এটি একটি পরিকল্পিত অপহরণ হতে পারে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত কোনও স্পষ্ট ক্লু মেলেনি। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে, সন্দেহভাজনদের গতিবিধি নজরে রাখা হচ্ছে। এলাকা জুড়ে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
অন্যদিকে, নিখোঁজ শিশুর মা অসহায়ভাবে কাঁদতে কাঁদতে বলেন, “আমরা কারও সঙ্গে কোনও শত্রুতা করিনি। তাহলে কেন আমার মেয়েটাকে কেউ নিয়ে যাবে?”
এখন গোটা গ্রামের একটাই প্রশ্ন—রাতের অন্ধকারে কোথায় হারিয়ে গেল ওই নিরীহ শিশুটি? কে বা কারা তাকে নিয়ে গেল? অপহরণ, নাকি এর নেপথ্যে আরও কোনও ভয়ংকর রহস্য লুকিয়ে রয়েছে?
সমস্ত জল্পনার কেন্দ্রে এখন একটাই বিষয়—শিশুটিকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব খুঁজে বার করা। পরিবার ও প্রশাসনের চোখে শুধুই আতঙ্ক আর অপেক্ষার প্রহর গোনা।