বাঁকুড়া (Bankura) শহরের মাকুড়গ্রাম এলাকায় বৃহস্পতিবার সকালে নজিরবিহীন চাঞ্চল্য ছড়াল। রাজ্য সড়কের ধারে ভরা বাজারের মাঝেই একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের এটিএম লুঠের চেষ্টা করে বসে চারজন দুষ্কৃতী। তবে আশপাশের মানুষের তৎপরতায় চরম পরিণতি হয় তাদের—তিনজন দুষ্কৃতী স্থানীয় বাসিন্দাদের হাতে ধরা পড়ে গণধোলাইয়ের পর পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় (Bankura)। চতুর্থজন যদিও পালাতে সক্ষম হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়া-দুর্গাপুর (Bankura) রাজ্য সড়কের ওপর অবস্থিত মাকুড়গ্রাম বাজারে। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, সকাল সকাল একটি ঝাড়খণ্ডের নাম্বার প্লেট লাগানো গাড়ি এসে থামে বাজারের ধারে থাকা রাষ্ট্রায়ত্ত একটি ব্যাঙ্কের (Bankura) এটিএম বুথের সামনে। গাড়ি থেকে চারজন দুষ্কৃতী নেমে দ্রুত ঢুকে পড়ে এটিএমে। ভিতরে ঢোকার আগে তারা দরজায় লাগানো সিসিটিভির মুখ ঘুরিয়ে দেয়, যাতে কোনও রেকর্ড না থাকে।
এরপর তারা শাটার টেনে ভিতরে ঢুকে যায় এবং ব্ল্যাকটেপ দিয়ে ঢেকে দেয় সমস্ত সিসিটিভি লেন্স। শুরু হয় এটিএম যন্ত্র ভাঙার তৎপরতা। কিন্তু ঠিক তখনই ঘটনার মোড় ঘুরে যায়। বেশ কিছুক্ষণ পরেও শাটার না ওঠায় এবং ভিতর থেকে অস্বাভাবিক আওয়াজ শুনে সন্দেহ জাগে স্থানীয়দের মনে। তারা দ্রুত সেখানে ছুটে গিয়ে ভিতরে ঢুকে যা দেখেন, তাতে চমকে ওঠেন।
ভিতরে তখন দুষ্কৃতীরা এটিএম ভাঙার চেষ্টা চালাচ্ছিল (Bankura)। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয়রা ঝাঁপিয়ে পড়ে তিনজনকে পাকড়াও করে গণধোলাই দেন। চতুর্থজন কৌশলে হাত ছাড়িয়ে গা ঢাকা দেয়। পরে ধৃতদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। গোটা ঘটনাটি ইতিমধ্যেই তদন্তের অধীনে নিয়েছে বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশ। ডেকে পাঠানো হয়েছে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের কর্তাদেরও।
এখন প্রশ্ন উঠছে, বাজারের মতো জনবহুল এলাকায় দিনের আলোয় এতটা সাহস নিয়ে কেন এবং কিভাবে ঢুকে পড়ল দুষ্কৃতীরা? গা ছমছমে এই ঘটনার পিছনে আরও বড় কোনও লুঠচক্র রয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।