ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ফের উত্তেজনা (Bangladeshi)। সোমবার, কোচবিহারের মেখলিগঞ্জের ডাঙারহাট সীমান্তে অনুপ্রবেশে বাধা পেয়ে বিএসএফ জওয়ানদের উপর হামলার চেষ্টা করলেন সীমান্ত লাগোয়া বাংলাদেশের কয়েকজন বাসিন্দা (Bangladeshi)। লাঠিসোঁটা নিয়ে তাঁরা হাজির হন সীমান্তের কাঁটাতারহীন এলাকায় এবং বিএসএফের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন (Bangladeshi)। ঘটনাটি ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা সীমান্ত অঞ্চল। শেষ পর্যন্ত কড়া হাতে পরিস্থিতি সামাল দেয় ভারতীয় সীমান্ত রক্ষা বাহিনী (BSF)।
জানা গিয়েছে, ডাঙারহাট সীমান্ত এলাকার ঠিক ওপারে বাংলাদেশের গাটিয়াভিটা গ্রাম (Bangladeshi)। এদিন সীমান্তে কোনো কাঁটাতার না থাকায় সুযোগ নিয়ে এক বাংলাদেশি নাগরিক (Bangladeshi) ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেন। তবে সময়মতো বিষয়টি লক্ষ্য করেন বিএসএফ জওয়ানরা এবং তাঁকে আটকে দেন।
এই বাধায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী গ্রামের একদল মানুষ। তাঁরা লাঠিসোঁটা নিয়ে জড়ো হয়ে সীমান্তে এসে বিএসএফ জওয়ানদের ঘিরে ধরে বচসায় জড়ান। তাদের আচরণ ছিল একেবারে মারমুখী। তবে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর তৎপরতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। বিএসএফ কড়া হাতে সমস্ত উস্কানি দমন করে।
সীমান্তের এই অংশে আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে। বিশেষ করে ২০২৪ সালের অগস্ট মাসে বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পর থেকে সীমান্তে অনুপ্রবেশের চেষ্টা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। ফলে ভারতের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে নজরদারি ও সতর্কতা জারি রাখা হয়েছে।
এর আগে একাধিকবার দেখা গিয়েছে, বিএসএফ সীমান্তে কাঁটাতার বসাতে গেলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছে বাংলাদেশের বর্ডার গার্ড বাহিনী (BGB)। এমন ঘটনায় ভারত কূটনৈতিক স্তরে বাংলাদেশকে কড়া বার্তা দিয়েছে।
২০২৫ সালের জানুয়ারিতেও মালদহ জেলার বৈষ্ণবনগরের সুখদেবপুরে সীমান্ত পেরিয়ে এসে বাংলাদেশিরা ভারতীয় কৃষকদের ফসল ও গাছ কেটে নিয়ে যায়। স্থানীয়রা প্রতিবাদ করলে ওপার থেকে পাথর ও দেশি বোমা ছোড়া হয় বিএসএফ ক্যাম্প লক্ষ্য করে।
এই ধারাবাহিক ঘটনায় উদ্বেগ বাড়ছে সীমান্তবর্তী গ্রামবাসীদের মধ্যেও। কাঁটাতারহীন এলাকাগুলিতে নিরাপত্তা জোরদার করার পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ও পররাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফেও বিষয়টি নজরে রাখা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর।
সীমান্তে ফের এমন উত্তেজনার পর প্রশ্ন উঠছে— ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক কি আরও অবনতির দিকে যাচ্ছে? শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই যেভাবে অনুপ্রবেশ ও হামলার ঘটনা বাড়ছে, তাতে দুই দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরও কড়া করতে হবে, বলছেন বিশেষজ্ঞ মহল।