মালদহের রসিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান লাভলি খাতুনের নাগরিকত্ব (Bangladeshi) নিয়ে রাজনৈতিক মহলে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস এখন লাভলির থেকে দূরত্ব বাড়িয়েছে। দলের মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন জানিয়ে দিয়েছেন, “লাভলি (Bangladeshi) দলের সঙ্গে বেইমানি করেছেন। তিনি যে বাংলাদেশি নাগরিক, তা তৃণমূল জানত না। যদি তাঁকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে হয়, তা হলে তাই হোক।”
সিপিআইএম এবং বিজেপিও লাভলি খাতুনের (Bangladeshi) বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। সিপিআইএম জানিয়েছে, তাঁরা নির্বাচন কমিশন ও আদালতের দ্বারস্থ হবে। তাঁদের অভিযোগ, লাভলি খাতুন বাংলাদেশের রাজশাহী জেলার বাসিন্দা। তাঁর আসল নাম নাসিয়া শেখ। ভুয়ো পরিচয়ে ভারতে প্রবেশ করে ভোটার কার্ড ও অন্যান্য নথি বানিয়ে তিনি পঞ্চায়েত নির্বাচনে জয়ী হন।
সিপিআইএম দাবি করেছে, “মালদহ জেলায় বহু অনুপ্রবেশকারী (Bangladeshi) ঢুকে পড়ছে। এতে জেলার জনবিন্যাসই বদলে যাচ্ছে।” অন্যদিকে বিজেপির দক্ষিণ মালদহের সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ি বলেন, “জেলা প্রশাসন যদি ব্যবস্থা না নেয়, তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে জানানো হবে। লাভলিকে অবিলম্বে বাংলাদেশে পুশব্যাক করতে হবে।”
জেলা তৃণমূল মুখপাত্র আশিস কুণ্ডু বলেন, “এটি বিচারাধীন বিষয়। আদালতের রায় অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এই ঘটনা ঘিরে জেলা রাজনীতিতে উত্তেজনা চরমে।