মতুয়া এবং নাগরিকত্ব নিয়ে ফের একবার উত্তাল রাজনীতি। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ভোটের আগমুহূর্তে মতুয়া সম্প্রদায়ের সমর্থন আদায় করতে নাগরিকত্ব (Bangladeshi) ইস্যুকেই অস্ত্র করছেন কেন্দ্রীয় জাহাজ পরিবহণ প্রতিমন্ত্রী ও বিজেপি নেতা শান্তনু ঠাকুর। রবিবার উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগরে মতুয়া ধর্ম চিন্তন শিবিরের এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে তিনি সিএএ প্রসঙ্গ টেনে আনেন এবং সরাসরি মতুয়াদের আবেদন করতে বলেন (Bangladeshi)।
শান্তনুর বক্তব্য, “যাঁরা বাংলাদেশ (Bangladeshi) থেকে এসেছেন, তাঁরা সিএএ-তে আবেদন করুন। যদি বাংলাদেশের কোনও নথি থেকে থাকে, তা ঠাকুরবাড়িতে জমা দিন। ওখান থেকেই আপনাদের হয়ে কেন্দ্রের কাছে আবেদন করা হবে। আলাদা করে কোনও সার্টিফিকেটের প্রয়োজন নেই।” তাঁর সংযোজন, “ঠাকুরবাড়ি থেকে আবেদন করলে অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘের তরফে একটি শংসাপত্র দেওয়া হবে, যাতে লেখা থাকবে এই ব্যক্তি মতুয়া মহাসংঘের সদস্য। এই সার্টিফিকেটই যথেষ্ট নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য(Bangladeshi)।”
কিন্তু হঠাৎ এই সময় সিএএ প্রসঙ্গ তোলার কারণ কী? এই প্রশ্নের জবাবে শান্তনু জানান, “সরকার এখন ধরপাকড় শুরু করেছে। প্রচুর বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি বেআইনি অনুপ্রবেশকারী দেশে ঢুকে পড়েছে এবং ঘাঁটি গেড়ে বসেছে। এই পরিস্থিতিতে সিএএ ছাড়া বৈধ উদ্বাস্তুরা বিপদে পড়বেনই।”
তবে শান্তনুর এই উদ্যোগ যে খুব একটা কাজে আসছে না, সেই দাবি করলেন মমতাবালা ঠাকুর ঘনিষ্ঠ ও মতুয়া মহাসংঘের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক প্রসেনজিৎ বিশ্বাস। তাঁর কটাক্ষ, “শান্তনু ঠাকুর যতই আবেদন করতে বলুন, বাস্তবে কেউই সিএএ-তে আবেদন করছেন না। তাই কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীকে পাড়ায় পাড়ায় ঘুরতে হচ্ছে। মতুয়া সম্প্রদায়ের সাধারণ মানুষ এখনও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপরেই বিশ্বাস রাখছেন। শান্তনু আসলে নিজের ব্যক্তিগত ব্যবসা আর রাজনৈতিক লাভের জন্য এই ইস্যু ব্যবহার করছেন।”
সব মিলিয়ে সিএএ-কে কেন্দ্র করে রাজ্য রাজনীতিতে ফের চড়ছে পারদ। মতুয়াদের নাগরিকত্ব ঘিরে কেন্দ্র ও রাজ্যের টানাপড়েন যে আগামী দিনে আরও তীব্র হবে, তার ইঙ্গিত মিলেছে এই বচসা থেকেই।