ভারতীয় সীমান্ত পেরিয়ে বারবার অনুপ্রবেশ (Bangladeshi) ঘটছে। কখনও নদিয়া, কখনও মুর্শিদাবাদ, কখনও বা উত্তরবঙ্গের দুই দিনাজপুর—ফাঁক পেলেই অনুপ্রবেশ করছেন বাংলাদেশি নাগরিকরা। সীমান্তরক্ষী বাহিনী (BSF) এবং পুলিশ যৌথভাবে সতর্ক নজরদারি চালালেও, মাঝে মাঝেই ধরা পড়ছে গুরুতর অপরাধে যুক্ত অনুপ্রবেশকারীরা (Bangladeshi)।
এবার শুধু অবৈধ অনুপ্রবেশ নয়, জালনোট রাখার অপরাধে এক বাংলাদেশি (Bangladeshi) নাগরিককে কড়া সাজা দিল জঙ্গিপুর ফাস্ট ট্র্যাক আদালত। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম মণিরুল ইসলাম। বাড়ি বাংলাদেশের (Bangladeshi) চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলার তারাপুর এলাকায়।
২০২২ সালে মুর্শিদাবাদের সামসেরগঞ্জ থানার অন্তর্গত গাম্ভারতলা এলাকা থেকে মণিরুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতের কাছ থেকে উদ্ধার হয় ৪৯৫টি পাঁচশো টাকার জালনোট (Bangladeshi)।
প্রথমে ধৃত নিজেকে সাগরদিঘি থানার কাবিলপুর এলাকার বাসিন্দা বলে দাবি করে। এমনকি, এক স্থানীয় ব্যক্তিকে নিজের বাবা বলে পরিচয় দিয়ে জাল কাগজপত্রও বানিয়েছিল সে । তবে পুলিশের তদন্তে ফাঁস হয় তার আসল পরিচয়। তদন্তে উঠে আসে, মণিরুল আদতে বাংলাদেশের বাসিন্দা। ভারতে অবৈধভাবে প্রবেশ করে সে জালনোট ছড়ানোর কাজ করছিল বলে প্রমাণ মেলে।
এই ঘটনার পরেই পুলিশের তরফে চার্জশিট জমা দেওয়া হয়। দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে শনিবার জঙ্গিপুরের ফাস্ট ট্র্যাক আদালতের বিচারক অনিল কুমার প্রসাদ এই মামলার রায় ঘোষণা করেন।
আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, মণিরুলকে চার বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তার সঙ্গে দিতে হবে ১০ হাজার টাকা জরিমানা। অনাদায়ে আরও ছয় মাস জেল খাটতে হবে তাকে।
এই ঘটনায় নতুন করে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে সীমান্তবর্তী এলাকায়। মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, মালদা ও দিনাজপুর—এই সমস্ত সীমান্ত অঞ্চলগুলোতেই বারবার অনুপ্রবেশ এবং জালনোট পাচারের ঘটনা ঘটছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করার দাবি তুলেছেন স্থানীয়রা।













