রাজ্যে বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR) শুরু হতেই অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে—এমন অভিযোগ তুলছে বিজেপি (Bangladeshi)। আর সেই আতঙ্কের মধ্যেই কোচবিহারের হলদিবাড়িতে চোরাপথে বাংলাদেশে পালাতে গিয়ে ধরা পড়লেন এক যুবক। পুলিশের হাতে ধৃত দুর্জয় রায়, বয়স মাত্র আঠাশ। তিনি নিজেই স্বীকার করেছেন, চার বছর আগে চোরাপথে বাংলাদেশ (Bangladeshi) থেকে ভারতে ঢুকেছিলেন এবং এর পরেই নিজের জন্য আধার কার্ড, প্যান কার্ড, এমনকি ব্যাংকের এটিএম কার্ডও তৈরি করে ফেলেছিলেন।
শুক্রবার দুপুরে প্রথম সন্দেহ জাগে স্থানীয়দের মনে (Bangladeshi)। সিঞ্জারহাট এলাকায় অপরিচিত এক যুবককে ঘোরাঘুরি করতে দেখে তাঁরা পুলিশকে খবর দেন। দেওয়ানগঞ্জ আউট পোস্টের পুলিশ পৌঁছে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই দুর্জয় স্বীকার করেন, তাঁর আসল বাড়ি বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জ জেলার মর্দিয়া গ্রামে (Bangladeshi)। চার বছর আগে দালালের সাহায্যে কাঁটাতার পেরিয়ে ভারতে এসেছিলেন। এখানে চা-বাগানে শ্রমিকের কাজ করেছেন, কখনও হোটেলে কাজ করেছেন—এইভাবেই থেকে গিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গেই (Bangladeshi)।
কিন্তু এসআইআর শুরু হতেই ভয় বাড়তে থাকে দুর্জয়ের (Bangladeshi)। তিনি আশঙ্কা করেন, ধরা পড়লে তাঁকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হতে পারে। তাই তিনি ঠিক করেন, দালালের সাহায্যে আবার চোরাপথেই দেশে ফিরে যাবেন। সেই মতো হলদিবাড়ি সীমান্তে পৌঁছেও যান তিনি। কিন্তু বাংলাদেশে ঢোকার আগেই পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যান। তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি মোবাইল ফোন, আধার কার্ড, প্যান কার্ড, ব্যাংকের এটিএম কার্ড এবং একটু নগদ টাকা।
গ্রেফতারের পর তিনি জানান, “চার বছর আগে এখানে ঘুরতে এসেছিলাম। তারপর চা বাগান আর হোটেলে কাজ করতাম।” পুলিশ ও স্থানীয়দের মতে, এসআইআর শুরু হওয়ার পর এভাবে পালাতে গিয়ে ধরা পড়ার ঘটনাই এই প্রথম নয়। গত কয়েক দিনে একাধিক বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী সীমান্ত পেরিয়ে ফেরার চেষ্টা করতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়েছেন।
এ নিয়ে সীমান্ত এলাকায় আগ্রহ, আতঙ্ক এবং রাজনৈতিক তৎপরতা—সবই দ্রুত বাড়ছে।













