আবার আবাসে (Awas Yojana) দুর্নীতি। এবার একেবারে বিস্ফোরক অভিযোগ। আবাসের (Awas Yojana) টাকাতেই নাকি তৈরি হয়ে গিয়েছে হোম স্টে। রমরমিয়ে চলছে ব্যবসা (Awas Yojana)। আবাসে বেলাগাম স্বজনপোষণের অভিযোগের মধ্যেই এই ছবি দেখা গেল টাকি পৌরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডে (Awas Yojana)। এখান থেকেই থাকেন রেশন ডিলার মানস দাস। অভিযোগ, একতলা পাকা বাড়ি থাকার পরেও আবাস ২০১৯-২০ সালে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা। সেই টাকাতেই হয় দোতলা। তারপর তিনতলা। বাড়ি পরিচিতিও ততক্ষণে গিয়েছে। রাতারাতি হয়ে গিয়েছে হোম স্টে। নাম দেওয়া হয়েছে ইচ্ছে ডানা। ঝোলানো হয়েছে সাইনবোর্ডও। যা নিয়ে চাপানউতোর রয়েছে এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যেও।
রেশন ডিলারের অবশ্য দাবি, যখন তিনি প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার জন্য আবেদন করেছিলেন তখন তিনি বেকার ছিলেন। বাবার মৃত্যু পর তিনি রেশনের দোকান চালান। যদিও পুর প্রধান সোমনাথ মুখোপাধ্যায় বলছেন, আমরা যখন মানস দাসকে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বাড়ি তাঁর নামে বরাদ্দ করেছি তখন তিনি বেকার ছিলেন। রেশন ডিলার ছিলেন ওনার বাবা। বাবার মৃত্যুর পর তিনি রেশন ডিলারশিপ পেয়েছেন কিনা তাও আমার জানা নেই।
টাকি পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফারুক গাজির দাবি, তাঁকে নাকি হোম স্টে করার কোনও অনুমতিই দেওয়া হয়নি। তাও তিনি ওখানে হোম স্টে লেখা সাইনবোর্ড ঝুলিয়েছেন। এমনকী দোতলা থেকে তিনতলা বাড়ি করারও কোনও অনুমতি তাঁর কাছে ছিল না। তিনি বলছেন, “জায়গা ছোট থাকার জন্য দোতলা বাড়ি করার অনুমতি পেয়েছিলেন। কিন্তু, উনি তিনতলা করে হোমস্টের সাইবোর্ড ঝুলিয়েছেন। খবর পাওয়া মাত্র ওনাকে নোটিস পাঠানো হয়েছে। জানানো হয়েছে সরকারি ঘরে হোম স্টে করা যাবে না। পুরসভা থেকে কোনও হোম স্টে করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। ট্রেড লাইসেন্সও দেওয়া হয়নি।”