অন্ধকার রাত, ফাঁকা রাস্তা, সামনে সন্দেহজনক একটি গাড়ি। সাহস করে থামেননি রাজু রায়, থেমে থাকেননি তাঁর স্ত্রীও (ATM Loot)। মোবাইল ক্যামেরা অন করে পুরো দৃশ্য বন্দি করেন তাঁরা। ভাবতেও পারেননি, সেই ছোট্ট ভিডিওটাই হয়ে উঠবে পুলিশের কাছে অপরাধ দমনের বড় অস্ত্র (ATM Loot)। শেষপর্যন্ত সেই ভিডিওর সূত্র ধরেই উদ্ধার হল ৫৮ লক্ষ টাকা, পুলিশের জালে ধরা পড়ল ভয়ঙ্কর চক্রের ৪ সদস্য।
১৪ জুন, ময়নাগুড়ির বৌলবাড়ি এলাকায় পরিবারের সঙ্গে গাড়ি চালিয়ে ফিরছিলেন রাজু রায় (ATM Loot)। সেই সময় এক এটিএম কাউন্টারে কিছু অসংলগ্ন কাজ লক্ষ্য করেন তিনি। সন্দেহ হওয়ামাত্র নিজের গাড়ি থামান না, বরং সাহসিকতার সঙ্গে পিছু ধাওয়া করেন একটি গাড়ির v। সেই সময়েই মোবাইলে রেকর্ড করে ফেলেন গুরুত্বপূর্ণ ভিডিওটি, যাতে স্পষ্ট ধরা পড়ে দুষ্কৃতীদের গাড়ির নম্বর।
এরপর ভিডিওটি পৌঁছে দেন জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশের হাতে (ATM Loot)। আর তৎক্ষণাৎ নড়েচড়ে বসে গোটা পুলিশ প্রশাসন। সূত্র ধরে তদন্ত শুরু হতেই জানা যায়, বৈকুণ্ঠপুর জঙ্গলের আশেপাশে গা ঢাকা দিয়ে ছিল চক্রের সদস্যরা। পুলিশ একের পর এক অভিযানে ধরে ফেলে চার জনকে। তাঁদের কাছ থেকেই উদ্ধার হয় লুট হওয়া লক্ষ লক্ষ টাকা।
আসলে ওই রাতেই এটিএম ভেঙে টাকা লুঠ করছিল একটি চক্র। এই অপরাধের সময়ই তা নজরে আনেন রাজু রায়, সাহস দেখিয়ে রেকর্ড করেন, খবর দেন পুলিশকে।
এই অসাধারণ সামাজিক দায়িত্ব পালনের জন্য সোমবার রাজু রায়কে বিশেষ সম্মান জানায় জেলা পুলিশ। পুলিশ সুপার উমেশ খান্ডবাহালে নিজে তাঁকে সংবর্ধনা জানান।
রাজু রায় এবং তাঁর স্ত্রীর মতো সাধারণ মানুষরাই প্রমাণ করে দেন, সচেতন নাগরিকরাই সমাজের আসল রক্ষাকর্তা।