জেল থেকে মুক্তির পর বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal)। বোলপুরের আইসি-কে কদর্য ভাষায় গালিগালাজ থেকে শুরু করে একুশে জুলাইয়ের সভায় তাঁর অনুপস্থিতি—সব মিলিয়ে তৃণমূলের অন্দরেই কেষ্টকে নিয়ে তৈরি হয়েছে জোরদার অস্বস্তি। যদিও ২০ জুলাই ধর্মতলায় মঞ্চ প্রস্তুতির সময়ে তাঁকে দেখা গেলেও, সভার দিন তিনি ছিলেন না (Anubrata Mondal)। উল্টে সেই মঞ্চেই জায়গা পেয়েছিলেন কাজল শেখ, যিনি বীরভূমে অনুব্রতের অনুপস্থিতিতে ক্রমশ সংগঠনের দায়িত্বে প্রভাব বাড়িয়েছেন।
তবে এই দৃশ্যপট বদলাতে শুরু করেছে রবিবার বিকেল থেকেই। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বীরভূম সফরে পৌঁছনোর পর, রাঙা বিতানে প্রথমে দেখা করেন কাজল শেখ। কিন্তু ঠিক তাঁর পরেই সেখানে উপস্থিত হন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal), আর মমতার সঙ্গে তাঁর প্রায় ১০ মিনিটের বৈঠক হয়। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এই হঠাৎ সাক্ষাৎ ঘিরে জল্পনা তৈরি হতেই সোমবার সকালে ভাইরাল হয় একটি প্রশাসনিক সভার আমন্ত্রণ তালিকা (Anubrata Mondal)।
আগামী মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী ইলামবাজারে একটি প্রশাসনিক সভায় অংশ নেবেন। সেখানে তিনি বেশ কয়েকটি সরকারি প্রকল্পের শিলান্যাস ও উদ্বোধন করবেন। সেই সভার অফিশিয়াল আমন্ত্রণ তালিকায় শীর্ষে রয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) নাম। তাঁর পরিচয়ের পাশে লেখা রয়েছে—“চেয়ারম্যান, পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় গ্রামোন্নয়ন পর্ষদ”। তৃণমূলের পুরনো সৈনিক অনুব্রতের (Anubrata Mondal)এই নাম উঠে আসা ঘিরে আবারও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছেন তিনি।
এই একই তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছেন কাজল শেখ। তাঁর নাম দেওয়া হয়েছে ফয়েজুল হক নামে। তালিকার এমন বিন্যাসে রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠছে—তবে কি কেষ্ট আবার পুরনো দাপট নিয়ে ফিরছেন বীরভূমে? রবিবারের বৈঠক ও সোমবার ভাইরাল হওয়া আমন্ত্রণপত্র যেন নতুন করে অক্সিজেন দিয়েছে অনুব্রত অনুগামীদের।
যদিও কাজল শেখ এ নিয়ে মুখ খোলেননি। তাঁকে তালিকায় চতুর্থ নাম নিয়ে প্রশ্ন করা হলে, তিনি কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি। তবে রাজনৈতিক মহল মনে করছে, অনুব্রত-মমতা বৈঠক এবং প্রশাসনিক সভায় তাঁর জায়গা পাওয়া তৃণমূলের ভিতরে নতুন করে ভারসাম্য রচনার ইঙ্গিত দিচ্ছে।