বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসে ফের organisational জট। কোর কমিটির বৈঠক ঘিরে দলে ফের তৈরি হল বিভ্রান্তি (Anubrata Mondal) ও চর্চা। আগামী ২৫ জুন, বুধবার বোলপুরে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা কার্যালয়ে একটি কোর কমিটির বৈঠকের ডাক দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই একটিমাত্র বৈঠক নিয়েই চলছে দ্বন্দ্ব। কারণ, বৈঠকের আহ্বান এসেছে দুই আলাদা দিক থেকে—একটি এসেছে কোর কমিটির চেয়ারম্যান তথা ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফে, অন্যটি এসেছে অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে, যেখানে স্পষ্টভাবে লেখা রয়েছে “ধন্যবাদান্তে অনুব্রত মণ্ডল”।
এই ঘটনার পরই জল্পনা ছড়িয়েছে, তবে কি আবারও কোর কমিটির চেয়ারম্যানের সিদ্ধান্তকে পাশ কাটিয়ে নিজের রাজনৈতিক বল দেখাচ্ছেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) ? কেন এক বৈঠকের জন্য আলাদা দু’টি গ্রুপে ডাক পাঠানো হল? এই ঘটনায় অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, কোর কমিটি ভেঙে নতুন করে দায়িত্ব ভাগের পর থেকে আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতেই জেলা সংগঠনের সমস্ত দায়িত্ব সঁপে দেওয়া হয়েছিল তৃণমূল সুপ্রিমোর তরফে। সেই প্রেক্ষিতে অনুব্রতর এই উদ্যোগ কি ইঙ্গিতবাহী?

দলীয় সূত্রের খবর, শনিবার কলকাতায় তৃণমূল ভবনে একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠক ছিল। সেই বৈঠকে অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) এবং কাজল শেখ—উভয়েই উপস্থিত ছিলেন। ভবানীপুরে গীতবিতান ভবনে এসে দেখা করেন ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে। এরপর তিনি দু’জনকে নিয়ে যান রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সির দফতরে। সেখানেই দলের তরফে অনুব্রতকে কড়া ভাষায় সতর্ক করা হয়। সম্প্রতি এক পুলিশ আধিকারিককে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করার ঘটনায় কেষ্টকে ‘লাস্ট ওয়ার্নিং’ দেয় তৃণমূল নেতৃত্ব। সেই বৈঠকের রেশ কাটতে না কাটতেই আবার তাঁর নিজের নামে বৈঠকের ডাক ঘিরে নতুন বিতর্ক।
বীরভূম জেলা তৃণমূলের অন্দরে এখন এই নিয়েই গুঞ্জন, তবে কি অনুব্রত মণ্ডল ফের নিজের রাজনৈতিক ‘ঘাঁটি’ শক্ত করতে চাইছেন? কাজলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হল? নাকি দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করেই নিজের ছন্দে হাঁটছেন কেষ্ট? এই প্রশ্নের উত্তর সময়ই দেবে, তবে আপাতত বীরভূমের রাজনীতিতে ফের অনুব্রত বনাম দল চর্চা চরমে।