আইপিএল ২০২৫-এর কোয়ালিফায়ার ১-এ রাজত্ব করল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। পাঞ্জাব কিংস-এর টপ অর্ডার (PBKS) একেবারে ভেঙে পড়ল মুল্লানপুরের ঝড় তোলা পিচে। ম্যাচের শুরুতেই টস জিতে ফিল্ডিং নেওয়ার সিদ্ধান্তে বাজিমাত করলেন আরসিবি অধিনায়ক রাজত পাটিদার (PBKS)।
মাত্র পাওয়ারপ্লের মধ্যেই চার উইকেট খুইয়ে বসে পাঞ্জাব(PBKS) , যার মধ্যে ছিলেন অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ারও (PBKS) । বোলিংয়ে আগুন ঝরালেন ভুবনেশ্বর কুমার, যশ দয়াল এবং ইনজুরি কাটিয়ে ফেরা জশ হ্যাজলউড—মিলিয়ে নিলেন চারটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট।
দর্শকাসনে বসে মুখ ভার করে যান পাঞ্জাবের কো-অনার প্রীতি জিন্টা। যিনি লীগ পর্বে দলকে নিয়ে হাসিমুখেই কাটিয়েছেন বেশিরভাগ সময়, তিনি আজ যেন একেবারে স্তব্ধ। শ্রেয়স আইয়ারের ২ রানে আউট হওয়ার পর আরও স্পষ্ট হয় হতাশা।
দ্বিতীয় ওভারে শুরু হয় ধস—প্রিয়াংশ আর্য একটি সহজ বল মারতে গিয়ে ক্যাচ দেন শর্ট কভারে, যশ দয়াল পান প্রথম ব্রেকথ্রু। এরপরেই মাঠে ফেরেন ইনজুরি কাটিয়ে ফেরা জশ হ্যাজলউড—আর একেবারে প্রথম ওভারেই ফেলে দেন বোমা! অতিরিক্ত বাউন্সে বিভ্রান্ত হয়ে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন আইয়ার।
এই মাঠে শ্রেয়সের পারফরম্যান্স এবছর একেবারে খারাপ—৫ ইনিংসে মাত্র ২৫ রান।
এরপরই প্রভসিমরন সিং-ও খোয়ান ধৈর্য। স্ট্যাবিলিটি দরকার ছিল, অথচ খেলেন বেপরোয়া শট। পাঞ্জাবের সিজনটা বটে আক্রমণাত্মক খেলার উপর নির্ভর করে এগিয়েছে, কিন্তু কোয়ালিফায়ারের মতো ম্যাচে একটু মাথা ঠান্ডা রাখা দরকার ছিল।
ষষ্ঠ ওভারে আবার কোপ হ্যাজলউডের। জোশ ইনগ্লিস, যিনি গত ম্যাচে মুম্বাইয়ের বিরুদ্ধে হিরো হয়েছিলেন, এবার পড়ে গেলেন হঠাৎ একটা বাউন্সারে।
পাওয়ারপ্লে শেষ হয় ৪৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে। তখনও কিছুটা আশার আলো দেখাচ্ছিলেন মার্কাস স্টইনিস—দু-তিনটে চমৎকার বাউন্ডারি মেরে ইনিংস টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করছিলেন।
কিন্তু তাও স্থায়ী হল না। পাওয়ারপ্লে শেষ হতেই যশ দয়াল আবার হানা দেন—নেহাল ওয়াধেরাকে ফিরিয়ে ৫০-এ ৫ উইকেট! পুরো মাঠ স্তব্ধ, গ্যালারি হতবাক।
রাজত পাটিদারের ক্যাপ্টেন্সি ছিল একেবারে নিখুঁত। প্রথম ৮ ওভারেই তিনি পেসারদের দিয়ে কাজ করান, এবং তাতে পুরোপুরি সফল। পিচের মুভমেন্ট-সাপোর্ট নিয়ে আরসিবি একেবারে শুরুতেই ম্যাচটা নিজেদের দিকে টেনে নেয়।
পাঞ্জাবের এই লজ্জার ব্যাটিং পারফরম্যান্স, বিশেষত টপ অর্ডারের এমন ভেঙে পড়া, প্রমাণ করে—হাই প্রেশার ম্যাচে সাহসিকতা নয়, দরকার পরিণত ক্রিকেট। আরসিবি সেটা দেখিয়েছে। এখন তাদের চোখ ফাইনালে, আর পাঞ্জাব পড়ে গেছে নকআউট-দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার-এর দোয়ারে।
