মিনি নিলাম সাধারণত দল গঠনের জায়গা নয় (KKR Auction 2025)। বরং যেখানে কিছু ঘাটতি থাকে, সেগুলি মেরামত করার মঞ্চ হিসেবেই দেখে এসেছে আইপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলি। কিন্তু কলকাতা নাইট রাইডার্সের ক্ষেত্রে এবারের মিনি নিলাম ছিল আলাদা গুরুত্বের (KKR Auction 2025)। গত মেগা নিলামে দল গুছিয়ে উঠতে পারেনি কেকেআর। তার উপর গত মরশুমের ব্যর্থতার পরে বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারকে ছেড়ে দিতে হয়েছে। ফলে এবারের নিলামে ফাঁকফোকর ভরাট করে দলকে নতুন করে শক্তিশালী করাই ছিল বড় চ্যালেঞ্জ। সেই কাজে অনেকটাই সফল নাইট ম্যানেজমেন্ট। দিনের শেষে নিলাম টেবিল ছাড়ে কেকেআর শিবিরে সন্তুষ্টির হাসি (KKR Auction 2025)।
এই নিলামে মূলত তিনটি লক্ষ্য নিয়ে নেমেছিল কেকেআর (KKR Auction 2025)। প্রথমত, আন্দ্রে রাসেলের বিকল্প হিসেবে একজন বিশ্বমানের অলরাউন্ডার খোঁজা। দ্বিতীয়ত, টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ম্যাচ ঘোরাতে পারে এমন একজন বিদেশি পেসার নেওয়া। তৃতীয়ত, একজন মানসম্মত উইকেটকিপার ব্যাটার দলে আনা। এর পাশাপাশি ব্যাকআপ শক্তিশালী করাও ছিল লক্ষ্য। নিলাম শেষে এই তিনটির মধ্যে দুটি ক্ষেত্রে পুরোপুরি সফল হয়েছে নাইটরা (KKR Auction 2025)।
অলরাউন্ডার হিসেবে কেকেআরের প্রধান লক্ষ্য ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার ক্যামেরন গ্রিন। ব্যাট হাতে ম্যাচের রং বদলাতে পারেন তিনি, আবার প্রয়োজনে মিডিয়াম পেসেও ভরসা দেন। বয়স কম হওয়ায় ভবিষ্যতের দিক থেকেও গ্রিনকে আদর্শ মনে করেছিল নাইট শিবির। নিলামের শুরু থেকেই তাঁকে পেতে ঝাঁপায় কেকেআর। রাজস্থান রয়্যালস কিছুটা লড়াই করলেও শেষ পর্যন্ত লড়াই জমে ওঠে চেন্নাই সুপার কিংস ও কেকেআরের মধ্যে। শেষ পর্যন্ত ২৫ কোটি ২০ লক্ষ টাকায় ক্যামেরন গ্রিনকে দলে নেয় নাইটরা।
পেস বিভাগে কেকেআরের পছন্দ ছিলেন শ্রীলঙ্কার মাথিশা পাথিরানা। ডেথ ওভারে ম্যাচ ঘোরানোর ক্ষমতার জন্য আইপিএলে আগেও নজর কেড়েছেন এই ‘জুনিয়র মালিঙ্গা’। তাঁকে ১৮ কোটি টাকায় কিনেছে কেকেআর। যদিও সাম্প্রতিক ফর্ম নিয়ে কিছুটা সংশয় রয়েছে। সেই কারণে বিকল্প হিসেবে অভিজ্ঞ মুস্তাফিজুর রহমানকেও নজরে রেখেছিল নাইটরা। তরুণ পেসার হর্ষিত রানা ও বৈভব অরোরার পাশে একজন অভিজ্ঞ বিদেশি পেসার থাকলে লাভ হবে, এই ভাবনা থেকেই ফিজের দিকে ঝোঁক ছিল কেকেআরের।
অলরাউন্ডার ও পেস বিভাগে সফল হলেও উইকেটকিপার ব্যাটার খোঁজায় পুরোপুরি সফল হতে পারেনি কেকেআর। নিলামে কার্তিক শর্মাকে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল নাইটরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ১৪ কোটির বেশি দিয়ে তাঁকে তুলে নেয় চেন্নাই। বাধ্য হয়ে কেকেআর ভরসা রেখেছে তরুণ তেজস্বী সিংয়ের উপর। দিল্লি প্রিমিয়ার লিগে গত মরশুমে সবচেয়ে বেশি ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন তেজস্বী। এ ছাড়া ফিন অ্যালেন ও টিম সেইফার্ট—এই দুই কিউয়ি উইকেটকিপারকেও দলে নিয়েছে কেকেআর। তবু এই বিভাগে কিছুটা চিন্তা থেকেই গেল।
এ ছাড়া রাচীন রবীন্দ্র ও আকাশ দীপের মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের দলে নিয়েছে নাইটরা। পুরনো নাইট রাহুল ত্রিপাঠীর প্রত্যাবর্তনও আলাদা মাত্রা যোগ করেছে স্কোয়াডে। পাশাপাশি তিনজন আনকোরা ক্রিকেটারকেও নেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে ছোটখাটো কয়েকটি মিস থাকলেও এবারের মিনি নিলামে নিজেদের বেশিরভাগ লক্ষ্যই পূরণ করেছে কেকেআর।










